সোসাইটিনিউজ ডেস্ক:
আজ বিশ্ব হার্ট দিবস । ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্বের ১৯৪টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশও দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করছে। ২০০০ সাল থেকেই এদেশে দিবসটি যথাযথভাবে পালিত হয়ে আসছে।
দিবসটি উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে হৃদরোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে সেমিনার, সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়েছে।
বর্তমান বিশ্বে হৃদরোগকে একনম্বর ঘাতকব্যাধি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিবছর ১ কোটি ৭৩ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় এই রোগে। আশঙ্কা করা হচ্ছে ২০৩০ সাল নাগাদ এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২ কোটি ৩০ লাখে। অথচ হৃদরোগের ভয়াবহতার ব্যাপারে সেইভাবে প্রচারণা নেই।
স্বাস্থ্যকর খাবার এবং ধূমপানমুক্ত পরিবেশ ছাড়া একজন ব্যক্তির পক্ষে হৃদরোগের ব্যাপারে ঝুঁকিমুক্ত থাকা কঠিন। তাই সকলে মিলেই সুস্থ হার্টবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শিশু এবং নারীরাই বেশি হৃদরোগের ঝুঁকিতে থাকে। সে কারণেই বারবার শিশু ও নারীর ওপর বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার কথা বলে থাকেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ। তাদের মতে, এই রোগ থেকে বাঁচতে হলে গোটা জীবন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে। হার্ট সুস্থ রাখার জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রতিবছর বিশ্বে মোট রোগীর মৃত্যুর মধ্যে ২৯ ভাগ হার্টের রোগে মারা যায়। বিশ্বস্বাস্থ্য সম্মেলনে অসংক্রামক রোগগুলোর ভেতর হৃদরোগকে অন্যতম ভয়াবহ হিসেবে শনাক্ত করে ২০২৫ সালের ভেতর এসব রোগে মৃত্যুর হার ২৫ ভাগ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ১৯৪টি দেশে কর্মসূচি প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে।
হার্টের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং এনজিওপ্লাস্টি আর বাইপাস সার্জারির মাধ্যমে এ রোগের নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তাই দেশের শতকরা ৯০ জনের পক্ষেই চিকিৎসা করানো সম্ভব হয় না। তা ছাড়া অধিকাংশ মানুষই থাকেন গ্রামে। সর্বত্র যোগাযোগের ব্যবস্থাও উন্নত নয়। ফলে হূদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু ঘটে।