সোসাইটিনিউজ ডেস্ক: রাজশাহীতে গত কয়েক সপ্তাহে পাইকারী ও খুচরা বাজারে বিভিন্ন জাতের আগাম শীতকালীন সবজি বেচাকেনা শুরু হয়েছে । শীত শুরুর পূর্বেই এসব সবজি বাজারজাত করতে পেরে বিক্রেতারা খুশি। সেই সাথে ক্রেতারাও খুশি।
বরেন্দ্র এলাকাসহ এ অঞ্চলের কৃষকরা নির্ধারিত সময়ের আগেই উৎপাদন করতে পারায় তাদের সবজি সহনীয় মূল্যে বিক্রি করতে পারছে। বিভিন্ন জাতের শীতকালীন সবজি যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাজর, বিট, শালগম, টমেটো, লাল শাক, পালং শাক বাজারে উঠেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) কর্মকর্তারা জানান, চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি হেক্টরে ২১.৫ টন। রাজশাহী অঞ্চলে চলতি মৌসুমে ২.৫ লাখ টন উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই এলাকার ৫০ গ্রামের এক লাখেরও বেশি মানুষ বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ ও বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত আছেন।
গোদাগাড়ি উপজেলার রাজাবাড়ি গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, এক ডেসিমেল জমিতে ৭৫০ টাকা খরচ করে ফুলকপি চাষ করে ১.৫ থেকে দুই মণ ফুলকপি পেয়েছি। পাইকারী বাজারে প্রতি মণ ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার ২শ’ টাকা পর্যন্ত।
তিনি বলেন, কৃষক সময়ের পূর্বে শীতকালীন সবজি চাষে প্রতি ডেসিমেল জমি থেকে লাভ করছে ৪৫০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা।
বিপুল পরিমাণ সবজি এই অঞ্চল থেকে ঢাকা, ট্টগ্রামসহ অন্যান্য প্রধান শহরে সরবরাহ করা হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা আব্দুস সোবহান বলেন, প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ ট্রাক সবজি রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা মনোয়ার হোসেন আগাম শীতকালীন সবজি কিনতে ঢাকার কারওয়ান বাজার থেকে পুঠিয়া উপজেলার বানেসার বাজারে এসেছে। তিনি ফুলকপি, বাঁধাকপি, শসাসহ অন্যান্য সবজি কিনছেন। তিনি বলেন, একশত লাউ ১ হাজার ৫শ’ টাকায় কিনছেন এবং কারওয়ান বাজারে ২ হাজার টাকায় বিক্রি করবেন।
দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান বলেন, অন্যান্য জেলার চেয়ে এই অঞ্চলে অধিক সবজি উৎপাদন হয়েছে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক জানায়, প্রতিদিন বিভিন্ন জাতের সবজি ঢাকা ও চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, জেলার পবা, দূর্গাপুর, চরঘাট, বাঘা, মহনপুর ও বাঘমারা উপজেলার জমি উর্বর হওয়ায় সবজির ফলন অধিক হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় সবজি উৎপাদন ব্যয়বহুল ও কার্যকর।
সূত্র: বাসস