‘দ্বৈত শাসন’ বিচার বিভাগে ধীর গতির কারণ: প্রধান বিচারপতি

বিচারকদের কর্মস্থল-নির্ধারণ, পদোন্নতিদান, ছুটি মঞ্জুরি ও শৃংখলাবিধানের ক্ষেত্রে ধীর গতির কারণ হিসেবে ‘দ্বৈত শাসন’র বিধান সম্বলিত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদকে দায়ী করেছেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।

নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচারবিভাগ পৃথকীকরণের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।

১ নভেম্বর বিচারবিভাগের পৃথকীকরণের বর্ষপূর্তি দিবস। ২০০৭ সালের পহেলা নভেম্বর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মাসদার হোসেন মামলা দায়ের আলোকে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচারবিভাগ পৃথক করা হয়।

প্রধান বিচারপতি বাণীতে বলেন, উল্লেখিত প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে প্রণীত ১৯৭২ সালের সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদটি পুনঃপ্রবর্তন হওয়া সময়ের দাবি। ওই বিধানটি পুন: প্রবর্তন করলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আরো সমুন্বত ও সংহত হবে, এবং বিচার বিভাগের সার্বিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হবে।

উল্লেখ্য, জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনামলে ১৯৭৮ সালে এক ফরমানের মাধ্যমে ১১৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্রপতির হাতে নেয়া হয়। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী পরে সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে বাতিল হয়ে যায়।

এরপর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ৭২ এর সংবিধানের চার মূলনীতিও ফিরিয়ে আনে। কিন্তু বাহাত্তরের সংবিধানে প্রদত্ত ১১৬ অনুচ্ছেদের বিধান আর ফেরেনি।

প্রধান বিচারপতি তার বাণীতে আরও বলেছেন, বহু চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের একটি ঐতিহাসিক রায়ের মাধ্যমে ২০০৭ সারের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক হয়ে এর যাত্রা শুরু করে। অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে পৃথকীকৃত বিচার বিভাগ সামনের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করে।

LEAVE A REPLY