সোসাইটিনিউজ ডেস্ক: সমৃদ্ধির সোনালী দিন, আনতে হলে আয়কর দিন- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলা আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে। ঢাকাসহ বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ১ থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত এ মেলা চলবে। ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের কর প্রদানে উৎসাহ দিতে সপ্তমবারের মতো এ মেলার আয়োজন করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
আজ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্মাণাধীন রাজস্ব ভবনে মেলার উদ্বোধন করবেন।
সোমবার আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান মেলার বিস্তারিত তথ্যাদি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, প্রথমবারের মত এবার ঢাকায়এনবিআরের নিজস্বভবনের সুবিশাল চত্বরে আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।আর করদাতারা মেলায় অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সুযোগ পাবেন।
তিনি বলেন, আয়কর মেলা ইতোমধ্যে করদাতাদের মধ্যে সাড়া ফেলাতে সক্ষম হয়েছে। এর সুখ্যাতি বেড়েছে। তাই এবার করতথ্য ও করসেবা আরো সহজ করতে মেলার ব্যাপ্তি বাড়ানো হয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সর্বোচ্চ করদাতাদের প্রতিবছর ২০টি ট্যাক্স কার্ড প্রদান করা হলেও এবার ১২৫ জনকে ট্যাক্স কার্ড দেওয়া হবে।রাজস্ব প্রদানে করদাতাদের উৎসাহ বাড়াতে ট্যাক্স কার্ডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ বছর ৮ বিভাগীয় শহরে ৭দিন, জেলা শহরগুলোতে ৪দিন এবং দ্বিতীয় বারের মত ২৯টি উপজেলায় ২ দিনব্যাপী স্থায়ী আয়কর মেলা এবং ৫৭টি উপজেলায় ১দিন ভ্রাম্যমান আয়কর মেলা হবে।রুঙিণ ব্যানার ফেস্টুন, বেলুন ও আলোকসজ্জার মাধ্যমে আঞ্চলিক পর্যায়েও মেলা আকর্যণীয় ও ফলপ্রসূ করার উদ্যোগ নিয়েছে এনবিআর।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে করদাতাদের মেলায় যাতায়াতের সুবিধার্তে এবার ৮টি শাটল বাসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
করদাতাদের কর তথ্য ও সেবা সহজে পেতে আয়কর মেলায় ঢাকার প্রতিটি কর অঞ্চলের জন্য পৃথক বুথ থাকবে। এনবিআরের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অনলাইনেও কর পরিশোধ করতে পারবেন করদাতারা।যাঁরা ফরম পূরণ করতে পারবেন না,তাঁদের জন্য চালু থাকবে হেল্প ডেস্ক। এ ছাড়া নারী, প্রতিবন্ধী ও প্রবীন করদাতাদের জন্য আলাদা বুথ থাকবে।কর পরিশোধে মেলায় থাকবে সোনালী ও জনতা ব্যাংকের বুথ।
মেলায় ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন করার ব্যবস্থা রয়েছে। কীভাবে দাখিল ও ফরম পূরণ করতে হবে-এ বিষয়ে সহযোগীতা দেবেন এনবিআরের রাজস্ব কর্মকর্তারা। এ ছাড়া পৃথক বুথ স্থাপনসহ কর সহায়ক পরিবেশের প্রতি বিশেষ নজর থাকবে মেলা জুড়ে। পুরো মেলা স্পট শক্তিশালী ইন্টারনেট সার্ভিস দ্বারা পরিচালিত হবে। কর-সংক্রান্ত হিসাবের সুবিধায় থাকবে ইলেকট্রিক ক্যালকুলেটর ও ফটোকপিয়ার মেশিনও।
উল্লেখ্য, গত বছরের মেলায় মোট রিটার্ন জমা পড়েছিল প্রায় দেড় লাখ। কর আদায় হয়েছিল ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।সেবা গ্রহণকারী করদাতার মোট সংখ্যা ছিল সাড়ে ছয় লাখ করদাতা।
সূত্র: বাসস