দেশের প্রায় চারশ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন। বিভিন্ন জটিলতায় বন্ধ থাকা ইউপির ভোট, উপ–নির্বাচন, পুনঃভোট, সমভোট এবং স্থগিতের কারণে এসব ইউপির ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৭৮ জন চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ১৩ প্রার্থী নির্বাচিত হন। এছাড়া অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন ২৯টিতে। গত ছয় ধাপের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পান ক্ষমতাশীন দলের প্রার্থীরা।
এর আগে সোমবার সকাল আটটা থেকে এসব ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকাল চারটায়। ভোট শুরুর পর দেশের দুএকটি কেন্দ্রে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য শনিবার সকাল থেকেই নির্বাচনী এলাকায় আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। নির্বাচনী অপরাধের সাজা দিতে সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটগণ।
গত ২২ জানুয়ারি প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে সাতক্ষীরায় স্থগিত থাকা ১৪টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১১টিতে রাতে ব্যালটে সিল মারা হয় বলে ইসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণেই শুক্রবার রাতে সেই সাতক্ষীরায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিলুপ্ত ছিটমহলভুক্ত ২৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ২৩টি ইউপিতে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত পদে ভোট দেন বিলুপ্ত ছিটবাসীরা।
গত ২২ মার্চ প্রথম ধাপ, ৩১ মার্চ দ্বিতীয় ধাপ, ২৩ এপ্রিল তৃতীয় ধাপ, ৭ মে চতুর্থ ধাপ, ২৮ মে পঞ্চম ধাপ, ৪ জুন ষষ্ঠ ও শেষ ধাপের নির্বাচন হয়।