জেনে নিন আকন্দের ঔষধি গুন

সোসাইটিনিউজ ডেস্ক: আকন্দ মাঝারি আকারের গুল্মজাতীয় ঔষধি উদ্ভিদ। আমাদের দেশের সর্বত্রই এটি জন্মে। তবে গাঁয়ের মেঠো পথের ধারে ছায়ামুক্ত স্থানে সবচেয়ে বেশি এর দেখা মেলে। গাছ উচ্চতায় ৬-৭ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।গাছ  নরম প্রকৃতির বিধায় ফুল আর ফলের ভারেই হেলে পড়ে। আকন্দের  রং সাদাটে সবুজ। পাতা দেখতে অনেকটা বটের পাতার মতো, যা আকারে ৪ থেকে ৮ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। পাতার শিরা-উপশিরা স্পষ্ট, উপরিভাগ মসৃণ এবং পাতার নিচের অংশ তুলোর মতো সাদাটে লোমশযুক্ত। বটের পাতার মতো পাতা ছিঁড়লে সাদা আঠা পাওয়া যায়। তবে বটের পাতার সঙ্গে এর পার্থক্য হলো এর পাতা খুবই নরম, মসৃণ ও উপবৃত্তাকার।

আকন্দ দুই রকমের। একটার ফুল সাদা রঙের, অন্যটা সাদাটে বেগুনি। সাদাটে বেগুনিটি বেশি দেখা যায়। এর ফুলে পাঁচটি পাঁপড়ি থাকে। পাতার মতো ফুলের পাঁপড়িও বেশ পুরু। ফুলের ব্যাস ১-১.৫ ইঞ্চি ও হালকা গন্ধযুক্ত। গ্রীষ্ম ও বর্ষা মৌসুম ফুল ফোটার প্রকৃত সময়। ফুল শেষে গাছে ফল হয়। ফলের রং সবুজ এবং অগ্রভাগ বাঁকা। ফলের ভেতর তুলোর মতো স্তরে স্তরে সাজানো অাঁশ থাকে। ফল পাকার পর অাঁশসহ বীজ বাতাসে উড়ে দূরে চলে যায়। বীজ, সাকার ও ডাল কাটিংয়ে তিন মাধ্যমেই বংশ বিস্তার করে।

আকন্দের ফুল, পাতা, আঠা, শিকড়, কা- বিভিন্ন চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। চুলের রোগ, ব্যথা সারাতে, হাঁপানি ও বিষনাশে বিশেষ কার্যকর। তা ছাড়া দাঁদ, মেছতার দাগ ও টাকপড়া, কৃমি রোগ, অমস্ননাশক, হজমশক্তি বৃদ্ধিতে, পেট ব্যথা দূর করতে এ গাছ অনেক কার্যকর।
সূত্র: কৃষি প্রতিক্ষণ

LEAVE A REPLY