কুড়িগ্রাম জেলা শহরে অবস্থিত মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষখাজা শরিফ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নিকট অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও শিক্ষকদের বেতন-ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।কলেজের শিক্ষক ও ও শিক্ষার্থীরা এই অভিযোগ করেছেন।দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান না হলে ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
কলেজের একজন শিক্ষক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষনা মোতাবেক বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় বে- সরকারি কলেজে সম্মান শ্রেনীর অনুমোদন দেওয়া হয়। ঠিক একই নিয়মানুযায়ী কুড়িগ্রাম মজিদা ডিগ্রী কলেজে ৮ টি বিষয়ে সম্মান শ্রেণী চালু হয়। পাঠদানের জন্য প্রভাষক নিয়োগ দেন সরকারি বিধিবিধানুসারে। কিন্তু নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক দের বেতন ভাতা অত্র কলেজ কেই প্রদান করতে হবে। যার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি কলেজের অধ্যক্ষ চুক্তি করে। তবে অধ্যক্ষ সেই চুক্তি না মেনেই বেতন ভাতার কুটি টাকা লুফে নিচ্ছেন কুড়িগ্রাম মজিদা কলেজে। বেতন ভাতা না দিয়েও ছাত্র দের হুমকি দিয়ে ২৩০০ টাকার জায়গায় নেওয়া হয় ১১০০০টাকার উপরে।আদায়কৃত টাকা চলে যায় অধ্যক্ষের ভোগে।
এক ছাত্র অভিযোগ করে বলেন, কোন ছাত্র ফরম পুরনের টাকা কম দিতে চাইলে, অধ্যক্ষ নিজ কক্ষে নিয়ে এসে অপমান করে।জোড় করে টাকা আদায় করে। কোন ছাত্রনেতা অভিভাবক বা নেতা সুপারিশ করলে, অধ্যক্ষ ওই ছাত্রকে এক টাকাও কম নিবে না বরং অমানুষিক ব্যাবহার করেন। ছাত্রদের ভর্তির করা ও ফরম ফিলাপের রশিদ তিন কপি থাকে তার মধ্যে এক কপি ছাত্রের হাতে ২য় কপি চলে যাবে স্ব স্ব বিভাগে ৩য় কপি থাকবে অধ্যক্ষের হাতে কিন্তু ছাত্রের কপি ছাড়া বাকি দুই কপি নিয়ে যান অধ্যক্ষ বাড়িতে। আদায়কৃত টাকা কলেজ ফান্ডে জমা করার কোন প্রয়োজনে মনেকরেন না।
কলেজের একজন শিক্ষক বলেন, অধ্যক্ষ প্রতি বছরে প্রায় দের কুটি টাকা কলেজ থেকে চুড়ি করেন। অন্য দিকে শিক্ষকেরা বিনাবেতনে পাঠদান করছেন। শিক্ষা মন্ত্রনালয় জানে শিক্ষকরা বেতন পেয়ে ভালই আছে কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো। এ সব নিয়ে বার বার উচ্চ মহলে আবেদন করলে তদন্ত চিঠি হয়ে থেমে যায়। শুনেছি কলেজ সভাপতি এমপি হওয়ার কারনে ফোনে হুমকি দিলেই সবাই চুপচাপ। এভাবে আর কতদিন?
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কলেজ পরিদর্শক বলেন,এটা খুবই গুরুতর অভিযোগ।ওই কলেজের অধ্যক্ষের ব্যাপারে খোজ নেয়া হবে।আর লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কলেজে অতি শ্রীঘ্রই আন্দলোন করব আমরা, আমি মজিদা কলেজের ছাত্র,আমরা যত টাকা দেই অন্য কোন কলেজে এর অর্ধেক টাকাও নেয়া হয় না,
apnara please akta babostha nen…