নিজস্ব প্রতিনিধি, জাবি:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানকে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) জাবি প্লাটুনের দায়িত্ব দেয়া নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি এক অফিস আদেশে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম তাকে বিএনসিসি’র ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেন। তবে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকলেও তাকে কিভাবে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
জানা যায়, ২০১১ সালে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ফিরোজ-উল-হাসানকে আটক করে র্যাব। পরবর্তীতে এ নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে। যদিও জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সে ঘটনাকে তিনি ভুল বুঝাবুঝি বলে দাবি করেন।
পরবর্তীতে ২০১২ সালে শাখা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মারধরে নিহত হন ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ। সে ঘটনায় দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।
নাম প্রকাশ না শর্তে বিএনসিসি’র এক ক্যাডেট বলেন, এ রকম একজন বিতর্কিত শিক্ষক পেয়ে আমরাও বিব্রত। এ রকম গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ভালো শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া উচিত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিষয়টি পুনবিবেচনার দাবি জানাই।
এ বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঐক্য মঞ্চের আহ্বায়ক অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন বলেন, এ রকম আরো অনেকের বিরুদ্ধেই নানা অভিযোগ রয়েছে। যারা পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের ব্যানারে রাজনীতিতে ক্ষমতাবান হয়ে উঠছেন। প্রশাসন বরাবরই বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যদেরকে অবমূল্যায়ন করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা পারা যায়নি।