নাসিরনগরে হিন্দুদের বাড়ি ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার হওয়া প্রথম ১১ জনের মধ্যে আটজনকে তিন দিন করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে নেওয়া আট জন হলেন, ছুট্ট মিয়া, মো. রুনাইত, উজ্জল মিয়া, বাবুল মিয়া, ইয়াসিন মিয়া, মাসুম মিয়া ও শাহিদ মিয়া। এদের বাড়ি নাসিরনগরের বিভিন্ন এলাকায়।
নাসিরনগরে হামলার ঘটনায় প্রথম দফায় গ্রেফতার ১১ জনের মধ্যে আটজনকে তিন দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানান তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাধন কান্তি চৌধুরী। পরে শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেন।
নাসিরনগরে হামলার এ ঘটনায় কয়েক দফায় ৭৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবার শুক্রবার নাসিরনগরের হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের জগন্নাথ দাসের ছেলে রসরাজ দাসের ফেসবুক পাতায় ‘ইসলামের অবমাননাকর’ একটি পোস্ট পাওয়া যায়, যা জানাজানি হলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ওই দিনই রসরাজের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়। পরদিন পুলিশ তাকে আটক করে এবং আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
ফেসবুকে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ তুলে রোববার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত নাসিরনগরে ১৫টি মন্দিরসহ হিন্দুদের দুই শতাধিক বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এর পাঁচ দিন পর গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কয়েকটি হিন্দু বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। প্রথম হামলার ঘটনায় নাসিরনগর থানায় অজ্ঞাতনামা ২ হাজার ৪০০ জনকে আসামি করে দুটি মামলা হয়।