মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে করা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় আগামী ০১ ডিসেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে দারুস সালাম থানার নাশকতার পাঁচ মামলাতেও একই দিনে তাকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত এ নির্দেশ দেন।
খালেদা জিয়া হাজির না হয়ে আইনজীবীদের দিয়ে সময়ের আবেদন জানান। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি পিছিয়ে ০১ ডিসেম্বর পুনর্নির্ধারণ ও ওইদিন খালেদাকে হাজিরের নির্দেশ দেন আদালত।
গত বছরের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে’ খালেদা জিয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। আজকে বলা হয়, এতো লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া দাবি করেন, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।
এরপর ২৩ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বক্তব্যে ‘দেশদ্রোহী’ মনোভাব পাওয়া যাচ্ছে অভিযোগ করে তা প্রত্যাহার করতে উকিল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারা মোতাবেক রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানান তিনি।
গত ২১ জানুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমোদন দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২৪ জানুয়ারি এ অনুমোদনের চিঠি হাতে পেয়ে ২৫ জানুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী।
ওইদিন খালেদা জিয়াকে ৩ মার্চ হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছিলেন আদালত। পরে একদফা সময় নিয়ে ১০ এপ্রিল সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন খালেদা জিয়া।
পরে মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে আসে। গত ১০ আগস্ট পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত। ওইদিন হাজির হয়ে এ আদালত থেকেও জামিন নেন খালেদা।