আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় মার্কিন-ভারত সম্পর্কে যে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে সেটা অনুমান করা গেছে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার সময়ই। কারণ ট্রাম্প প্রচারণার বিভিন্ন সময় ভারতের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ভারত এমন একটি দেশ যারা উত্তরোত্তর অগ্রগতি করে চলেছে। তিনি নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছাও প্রচারণার সময় বেশ কয়েকবার ঘোষণা করেন। আর ট্রাম্পের জয়ের পর এক টুইট বার্তায় নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেইসাথে দু’দেশের সম্পর্ক আরো দৃঢ় করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনিও। এই জয়কে ২০১৪ সালে মোদীর জয়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এতেই দু’দেশের সম্পর্কে নতুন দ্বার উন্মোচিত হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। খবর এনডিটিভি’র।
ভারতীয় বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে গিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানকে সঙ্গে নিয়ে জোট শক্তিশালী করতে চান। প্রচারণাকালীন সময়েও দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাছাড়া চীন ব্যবসায়িকভাবে যে মার্কিন সুবিধা পেয়ে থাকে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার অঙ্গীকার দিয়েছিলেন এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার এ নীতি ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এমনই পরিস্থিতিতে ভারত চীন ও পাকিস্তানকে রুখতে যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে চায়। তবে সবকিছুই নির্ভর করবে ট্রাম্প কীভাবে পুরো বিশ্বের সাথে তার কর্মকাণ্ড চালিয়ে যান। কারণ কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের ‘পুনঃভারসাম্য’ শুধু কাগজে-কলমে দেখে অনেকটা হতাশ হয় ভারত।