আবদুর রউফ মার্চেন্ট ওরফে দাউদ মার্চেন্টকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে । দ্য হিন্দুসহ ভারতের একাধিক গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
দ্য হিন্দু জানিয়েছে, ১৯৯৭ সালে গায়ক গুলশান কুমার হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দাউদ মার্চেন্টকে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ থেকে মুম্বাইয়ে নেয়া হয়।
এর আগে গত রোববার বিকালে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। মুক্তির পর তার অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি।
গত ৩ নভেম্বর দাউদ মার্চেন্টকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারার অভিযোগ থেকেও অব্যাহতি দেন আদালত। সাত বছরের বেশি সময় কারাগারে থাকার পর তিনি মুক্তি পান। এরপর দাউদ মার্চেন্ট কোথায় গেছেন কিংবা তাকে কারও হেফাজতে নেয়া হয়েছে কি না- এনিয়ে সরকারি কোনো সংস্থার পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি। এরই মধ্যে তাকে ভারতের হস্তান্তরের খবর এলো।
ভারতের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দ্যা হিন্দু জানায়, কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ দাউদ মার্চেন্টকে মেঘালয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। ইন্টারপোলের সহায়তায় সীমান্তে দাউদ মার্চেন্টের হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হচ্ছে, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় দাউদ মার্চেন্ট বিএসএফের হাতে আটক হন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৮ মে ভারত সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এক সহযোগীসহ দাউদ মার্চেন্টকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের পুলিশ। পরে দাউদ মার্চেন্টের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে পাসপোর্ট আইনে মামলা করে পুলিশ। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তিনি জামিনে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান। মুক্তির পরপরই তাকে আটক করে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির পর সম্প্রতি বিভিন্ন পর্যায়ের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে জঙ্গি ও দাগি আসামিদের হস্তান্তর শুরু হয়। এ চুক্তির আওতায় আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা অনুপ চেটিয়াকে ফেরত দেয় বাংলাদেশ। পরে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলার অন্যতম আসামি নূর হোসেনকে ফেরত দেয় ভারত।