গত বছর বিশ্বে শিশুমৃত্যুর ৬০ শতাংশই হয়েছে এশিয়া ও আফ্রিকার মাত্র ১০টি দেশে। ২০১৫ সালে বিশ্বে পাঁচ বছরের কম বয়সী ৫৯ লাখ শিশুর মৃত্যু হয়। ১০টি দেশ হলো_ এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, চীন, ইন্দোনেশিয়া এবং আফ্রিকার অ্যাঙ্গোলা, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া ও তানজানিয়া। গতকাল শুক্রবার চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণা বিষয়ক এক নিবন্ধে এ কথা জানানো হয়। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এ গবেষণা পরিচালিত হয়। খবর এএফপির। বৈশ্বিক শিশুস্বাস্থ্যবিষয়ক এক গবেষণার ফল তুলে ধরে ওই নিবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ায় অপরিপকস্ফ অবস্থায় জন্ম নেওয়াই শিশুমৃত্যুর প্রধান কারণ। চীনে জন্মগত ত্রুটি এবং আফ্রিকার দেশগুলোয় নিউমোনিয়া পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুর প্রধান কারণ।
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২৫–এর নিচে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো খুবই জরুরি বলে মন্তব্য করেন গবেষণা দলের প্রধান জোনস হপকিন্স বল্গুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষক লি লিউ। তিনি বলেন, মাতৃদুগ্ধ পানে উৎসাহিত করা, নিউমোনিয়া, ম্যালেরিয়া ও ডায়েরিয়ার ওষুধ নিশ্চিত করা এবং বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে শিশুর অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ায় প্রতি হাজারে ১০টিরও কম শিশুর মৃত্যু হয়। এ মৃত্যুগুলোও সাধারণত জন্মগত ত্রুটি, অপরিপকস্ফ জন্ম এবং দুর্ঘটনাজনিত কারণে ঘটে।
নিবন্ধে বলা হয়, গত বছর ২৭ লাখ শিশুর বয়স ২৮ দিন হওয়ার আগেই মারা গেছে। এতে আরও বলা হয়, ২০০০ সালের তুলনায় পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুর ঘটনা গত বছর ৪০ লাখ কম হয়েছে।