আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় গোলযোগপূর্ণ বেলুচিস্তান প্রদেশে শনিবার সূফি মাজারে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে ৫২ জন নিহত ও আরো শতাধিক লোক আহত হয়েছে। কর্মকর্তারা এ খবর জানায়।
প্রাদেশিক রাজধানী কোয়েটা থেকে প্রায় ৭৬০ কিলোমিটার দূরে খুজধার জেলায় সূফি অলি শাহ্ নূরানীর মাজারে একটি অনুষ্ঠান চালাকালে এ হামলা চালানো হয়।
ঘটনার পর দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত মাজারটিতে পৌঁছাতে জরুরি উদ্ধারকারী সংস্থার কর্মীদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়।
মাজারটিতে প্রতিদিন সন্ধ্যার আগে সূফি নাচ ‘ধামাল’ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদিনের মতো শনিবারও এই নাচের অনুষ্ঠান চলাকালে হামলাটি চালানো হয়।
জিহাদি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এই ঘটনার দায়িত্ব স্বীকার করে জানিয়েছে, গোষ্ঠীটির আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা এ হামলা চালায়।
ইসলাম ধর্মের মতবাদ সূফিজম আধ্যাত্মিকতাকে উৎসাহিত করে। পাকিস্তানে কয়েক লাখ লোক সূফিজমের অনুসারী।
তবে চরমপন্থীরা ইসলাম ধর্মের এই শাখার কট্টর বিরোধী।
পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এমনকি প্রতিবেশী দেশ ইরান থেকেও ভক্তরা এই মাজার জিয়ারত করতে আসেন।
কর্মকর্তারা বলেন, বোমা হামলার সময় কয়েকশ’ মাজার জিয়ারতকারী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রখ্যাত দাতব্য সংস্থা ইদি ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থলে ৫০টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছে। এগুলো হতাহতদের ১শ’ কিলোমিটার দূরে করাচির একটি হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।
তবে কর্মকর্তারা জানান, এই ঘটনায় আহতদের জীবন রক্ষার জন্য জরুরি ভিত্তিতে হেলিকপ্টার প্রয়োজন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রধান ইমরান খান বলেছেন, ‘আমাদের সমাজের মূলে এ হামলাটি চালানো হয়েছে।
জুন মাসে করাচিতে দুজন বন্দুকধারীর হামলায় জনপ্রিয় সূফি কণ্ঠশিল্পী আমজাদ সাবরী নিহত হন।
চলতি বছর চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলো বেলুচিস্তান প্রদশের বেসামরিক লোকদের লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালিয়েছে।
অক্টোবর মাসে, কোয়েটা নগরীর একটি পুলিশ কলেজে এক হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়।
আগস্ট মাসে নগরীর একটি হাসপাতালে এক হামলায় ৭০ জন প্রাণ হারায়।
সূত্র: বাসস