জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু হয়েছিল ক্যান্সারে।
তার ভক্তদের একটি দল ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে আজ হেটে হেটে ঢাকার কার্জন হল এলাকা থেকে গাজীপুরের নুহাশ পল্লী যাচ্ছেন। কিছুক্ষণ আগে কথা হলো নজরুল ইসলাম নামে একজনের সাথে। তিনি বলছেন তারা ঢাকার বাড্ডা পর্যন্ত এসে পৌঁছেছেন। কার্জন হল থেকে রওনা হয়েছিলেন ১২ জন। বাড্ডা পর্যন্ত যাওয়ার পর একদল সেখানে থেমে গেছে। সাথে যোগ হয়েছে নতুন কজন। এভাবেই গাজীপুরে নুহাশ পল্লী পর্যন্ত যাচ্ছেন তারা। তবে সাত জন যাচ্ছেন পুরোটা পথ।
গাছগাছালিতে ভরা নুহাশ পল্লী গড়েছিলেন হুমায়ূন আহমেদ নিজে।২০১৩ সালে তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে একদল ভক্ত সূচনা করেছিলেন হিমু পরিবহন নামে একটি সংগঠনের। হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় চরিত্র হিমু আর রুপা সম্পর্কে যে কোন হুমায়ূন ভক্তরাই জানেন।
এ সংগঠনে ধীরে ধীরে সমবেত হতে থাকে নিজেদের হিমু আর রূপা ভাবেন এমন কিছু তরুণ তরুণী। তিন বছরে হিমু পরিবহনের সদস্য সংখ্যা দেশজুড়ে ১০ হাজারের বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। তারা সবাই মিলে ৪৫ টি জেলায় হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন পালন করছেন বলে জানিয়েছেন।
হিমু পরিবহনের সমন্বয়ক আহসান হাবীব মুরাদ বলছেন, “স্যার ক্যান্সারে মারা গেছেন। তাই আমরা শুধু হেটে হেটে যাবো না সেনিয়ে মানুষজনের সাথে কথাও বলবো। সেই সাথে যাত্রাপথে ক্যান্সার সচেতনতামূলক লিফলেট বিলি করবো”
হিমু চরিত্রটি হলুদ রঙের পাঞ্জাবি পড়তে পছন্দ করতো আর রাস্তায় ঘুরে বেড়াতো। তার প্রতি আর লেখকের প্রতি ভালবাসা থেকেই এমন সংগঠনের উদ্যোগ বলছিলেন তিনি। আবার তিনি নিজেই বলছেন, বিষয়টি পাগলামোও হতে পারে।