নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চল নীলক্ষায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে টেঁটাযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, মোমেন মিয়া, মানিক মিয়া ও খোকন সরকার।
সেই সঙ্গে পুলিশ ও দুই দল গ্রামবাসীর ত্রিমুখী সংঘর্ষে রায়পুরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, তিন এসআই ও দুই কনস্টেবলসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার দুপুরে রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলকাবাসী জানায়, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক ও বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরই জেরে সোমবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সকালে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালায়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এতে পুলিশের ওপর ককটেল ও টেঁটা নিক্ষেপ করে গ্রামবাসী।
হামলায় রায়পুরা থানা পুলিশের ওসি আজহার উদ্দিন, টেঁটার আঘাতে তিনজন এসআই ও দুজন কনস্টেবলসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।
পুলিশ জানায়, আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বি-বাড়িয়া জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১৩ টেঁটাবাজকে আটক করা হয়েছে।
তবে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন নরসিংদী পুলিশ সুপার। তিনি জানান, এ ঘটনায় ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে।