কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৫। ৫ ওভারের মধ্যে। এরপর ৯ ওভারে ১ উইকেটে ৭২। ঢাকা ডায়নামাইটসের যা ব্যাটিং লাইন আপ তাতে এরপর তাদের বেশ বড় স্কোর গড়ার কথা। কিন্তু জয়ে ফিরতে মরিয়া চিটাগং ভাইকিংস এরপর আঘাতের পর আঘাত হেনেছে। খুব বড় স্কোর গড়তে দেয়নি ঢাকাকে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ঢাকা করেছে ১৪৮ রান।
এটা সাকিব আল হাসানের সাথে বন্ধু তামিম ইকবালের লড়াইও। তামিমের চিটাগং প্রথম ম্যাচ জেতার পর টানা তিন হারে পয়েন্ট টেবিলের নিচের দিকে। ৪ ম্যাচের ৩টি জিতে ঢাকা শীর্ষে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে চলে যাওয়া বিপিএলে হোমটিম চিটাগংয়ের এটি ফেরার ম্যাচ।
টস হেরে ব্যাট করতে নামে ঢাকা। মেহেদী মারুফ যেমন মারত থাকেন প্রতি ম্যাচে, এই খেলায়ও তাই করলেন। বাউন্ডারিতে নাচিয়ে দিলেন ঢাকাকে। কিন্তু মোহাম্মদ নবি ৪.৫ ওভারে থামান তাকে। মারুফ ২০ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রানে ফেরেন।
নাসির হোসেন ও কুমার সাঙ্গাকারা এরপর বেশ ভালো ভাবে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। ৯ ওভার পর ড্রিংকস ব্রেক ছিল। ওই বিরতির পর ফিরেই প্রথম সর্বনাশ ঢাকার। এই আসরের সবচেয়ে গতিশীল বোলার টাইমাল মিলস ৪ বলের মধ্যে তুলে নেন এই দুজনকে। নাসির ২০ ও সাঙ্গাকারা ১৭ রানে আউট।
অধিনায়ক সাবিক আর তরুণ মোসাদ্দেক মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ৭ বলে ১৩ রানের ইনিংস খেলে নবির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাকিব। ৭ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায় ঢাকা। ডোয়াইন ব্রাভো (৩) রান আউট।
মোসাদ্দেক সাহসী। হাল ধরেন। ২৮ রান পর্যন্ত উইকেট পড়ে না। কিন্তু তারপর পর পর ৪ ওভারে পড়ে ৪টি। মোসাদ্দেকও ২৬ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৫ রানে ফেরেন। বিশাল সংগ্রহের আশা জাগিয়েও তা হয়নি ঢাকার। তবে জেতার মতো স্কোর হয়ত করে ফেলেছে তারা।