গাইবান্ধার সুগারমিল এলাকায় রোপিত ধান কাটার অনুমতি পেয়েছেন সাঁওতালরা। পাট ও কালাইসহ অন্যান্য যেসব ফসল লাগিয়েছে, সরকার কেটে নিলেও তা সাঁওতালদের ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগ । একইসঙ্গে সাঁওতালদের ওপর হামলার ঘটনায় কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা গাইবান্ধার ডিসি, এসপি ও গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসিকে ২১ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এসব অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি সাঁওতালদের পুনর্বাসনে ও দায়ীদের বিরুদ্ধে কী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না রিটের পক্ষে শুনানি করেন । তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান ও অ্যাডভোকেট কুমার দেবুল দে।
এর আগে সাঁওতালদের ওপর আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলি চালানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বুধবার হাইকোর্ট বিভাগে রিট আবেদন দায়ের করে বেসরকারি সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), অ্যাসোসিয়েশন অব ল্যান্ড রিফর্ম এন্ড ডেভেলপমেন্ট ও ব্রতী সমাজ কল্যাণ সংস্থা।
রিটে সাঁওতালদের জানমালের নিরাপত্তা, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ এবং সাঁওতাল পল্লীতে তারা যাতে বিধি-নিষেধ ছাড়াই চলাফেরা করতে পারে সে ব্যাপারে আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ৬ নভেম্বর রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে পুলিশ, চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ও সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে তিন সাঁওতাল নিহত হন।