নিজস্ব প্রতিনিধি, জাবি:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে চলমান প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ১৭ জনকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডি’ ইউনিটের (জীব বিজ্ঞান অনুষদ) পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে তাদের আটক করা হয়। এদের মধ্যে ৫ জনকে পুলিশে সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরা হলেন সোয়েব আলী চৌধুরী, মোরশেদ আলম জামান, মনিরুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান ও আশিক কবির। আর কোন প্রমাণ না পাওয়ায় ১২ জনকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিকদের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশ থেকে ৭ জনকে আটক করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্য মতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান থেকে আরো ৯ জনকে আটক করা হয়। এছাড়া বন্ধুকে সহযোগিতার করার উদ্দেশ্যে নির্ধারিত ৪র্থ শিফটের পরিবর্তে ১ম শিফটের পরীক্ষায় অংশগ্রহন করার অভিযোগে এক পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির জিজ্ঞাসাবাদের পর কোন অভিযোগ না পাওয়ায় ১২ জনকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর বাকি ৫ জনকে আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এদের মধ্যে সোয়েব আলী চৌধুরী ও মোরশেদ আলম জামান জালিয়াতি চক্রের সাথে জড়িত। আর একজন জালিয়াতি চক্রের এক সদস্যের সাথে ঘুরতে আসেন। অন্য দুই জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।
সোয়েব ইউসিসি ভর্তি কোচিং সেন্টারের ভর্তি ফরম পূরণ করে। আর তার সঙ্গে যোগ হয়ে মোরশেদ আলম জামান ভর্তিচ্ছুকদের কাছ থেকে প্রতি জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানোর জন্য ৫-৬ লক্ষ টাকার চুক্তি করে একাধিক ভর্তি ইচ্ছুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। রবিবার চুক্তিকৃত ভর্তিচ্ছুদের সাথে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারের পাদদেশে কথা বলার সময় এই দুই ব্যক্তি আটক করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, ‘কোন প্রমাণ না পাওয়ায় ১২ জনকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৫ জনকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।’