আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সেনাবাহিনীর অভিযানের ভয়ে প্রায় প্রতিদিনই পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা। সীমান্ত রক্ষীদের কড়া প্রহরা সত্ত্বেও গোপনে তাদের প্রবেশ চেষ্টা অব্যাহত আছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। মিয়ানমারের সরকারকে সেখান মানুষদের নিয়ম অনুযায়ী রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশের সীমান্ত খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর। কিন্তু মিয়ানমারকে কেন চাপ দেয়া হচ্ছে না?
শরণার্থী বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রামরুর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সি আর আবরার বলছিলেন মিয়ানমারকে যতটা চাপ দেয়া প্রয়োজন ততটা দেয়া হচ্ছে না।
শুধুমাত্র সে কারণেই এই সমস্যা জিইয়ে ছিল এবং অবস্থা এখন আরো খারাপ হচ্ছে।
“অতীতে চীনের কিছুটা চাপ ছিল এখন সেটাও নেই” বলছিলেন মি. আবরার।
জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কোফি আনানের কমিশন রোহিঙ্গা ইস্যুতে খুব একটা কাজ করতে পারবে বলে মনে করছেন না বিশ্লেষকেরা।
মি. আবরার বলছিলেন আন্তর্জাতিক কমিউনিটি সময় নেয়ার জন্য এমন কমিশন গঠন করা হচ্ছে । তবে মূল উৎস রাষ্ট্র হিসেবে মিয়ানমারের প্রধান দায়িত্ব বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সনদে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে। সে হিসেবে মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের সাহায্য করার বিষয় রয়েছে বাংলাদেশের।
সি আর আবরার বলছিলেন “লোকগুলো যখন জীবনের ভয়ে ভীত হয়ে আরেক দেশে আশ্রয় প্রার্থনা করছে, তখন শুধু বাংলাদেশ না সব দেশের আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালন করার বিষয় রয়েছে। এটা একটা মানবিক সমস্যা”।
অক্টোবর মাসে রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযান শুরু হবার পর থেকে জাতিসংঘের হিসেবে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশী মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এদের অর্ধেকেরই বেশী গৃহহীন হয়েছে গত এক সপ্তাহের কম সময়ে। খবর বিবিসি