ক্রীড়া ডেস্ক
নিউজিল্যান্ডকে ১৫০ থেকে ১৭০ রানের লক্ষ্য দিতে পারলে পাকিস্তানেরও সুযোগ থাকবে, বলেছিলেন পাকিস্তান কোচ মিকি আর্থার। তাঁর দল দিতে পারল মাত্র ১০৫ রানের লক্ষ্য! ফলে যা হওয়ার তা-ই হলো। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের সাতে থাকা কিউইরা উড়িয়েই দিল দুই নম্বরে থাকা পাকিস্তানকে। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে ১৭১ রানে গুটিয়ে কিউইরা জয়ের টার্গেট ১০৮ রানে পৌঁছায় ২ উইকেট হারিয়ে।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ভবিষ্যত্ সম্ভাবনার ছাপ রাখেন জিত রাভাল। দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিংয়ে অভিষিক্ত বাঁহাতি ওপেনার অপরাজিত থাকেন ৩৬ রানে। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৫৫। আর ব্যাটিং দুরূহ উইকেটেও ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করেছেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। করেন ৭৭ বলে ৬১ রান। ওপেনার টম ল্যাথামের দ্রুত বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে দুজনের ৮৫ রানের জুটিতেই জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় কিইউরা।
কিন্তু ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভাল মাঠে নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান প্রথম টেস্টের প্রথম দিন ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। তারপরও পঞ্চম দিনের খেলার কোনো দরকারই পড়ল না। মাঝের তিন দিনেই খেল খতম। আসলে কাল চতুর্থ দিন লাঞ্চের পরই টেস্ট জিতে নেয় নিউজিল্যান্ড।
প্রথম ইনিংসে দেশের হয়ে রেকর্ড গড়া ৬ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেট আর ২৯ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা ৩০ বছর বয়সী অভিষিক্ত কিউই অলরাউন্ডার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। অভিষেকে ম্যাচসেরা হওয়া চতুর্থ কিউই ক্রিকেটার তিনি। এর আগে এমন কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন ফ্লেমিং, ব্যাটসম্যান ম্যাথু সিনক্লেয়ার এবং অফ স্পিনার মার্ক ক্রেইগ।
পাকিস্তান দিন শুরু করেছিল ৭ উইকেটে ১২৯ রান নিয়ে। অপরাজিত থাকা স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান আসাদ শফিক বিশেষ কিছু করতে পারেননি। ১৭ রানেই আউট তিনি। শুধু লোয়ার অর্ডারে সোহেল খানের ৪০ রানের ইনিংসে কোনো রকমে শতরানের বেশি লক্ষ্য দিতে পারে পাকিস্তান। ৩টি করে উইকেট তিন কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি ও নিল ওয়াগনারের। পরে এ টার্গেটে যেতে কোনো সমস্যাই হয়নি স্বাগতিকদের। চতুর্থ দিন লাঞ্চের ঘণ্টাখানেক পরই ম্যাচের ইতি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান ১ম ইনিংস : ১৩৩ ও ২য় ইনিংস : ১৭১/১০ (সোহেল ৪০, আজহার ৩১, বাবর ২৯, শফিক ১৭; বোল্ট ৩/৩৭, সাউদি ৩/৫৩, ওয়াগনার ৩/৩৪)।
নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস : ২০০ ও ২য় ইনিংস : ১০৮/২ (রাভাল ৩৬*, উইলিয়ামসন ৬১; আমির ১/১২, আজহার ১/৬)।
ফল : নিউজিল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা : কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম।