নিউজ ডেস্ক
২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকালে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. আবদুল হামিদ এবং সরকার প্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা সেনানিবাসে পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান তিন বাহিনীর প্রধান।
রাষ্ট্রপতি শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল অভিবাদন জানায়। পরে রাষ্ট্রপতি শিখা অনির্বাণ চত্বরে রাখা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
রাষ্ট্রপতির পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে শহীদ সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময়, সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অফ অনার দেয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী যখন শিখা অনির্বাণে ফুল দেন, তখন বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।
রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানের পর তিন বাহিনীর প্রধান নিজ নিজ বাহিনী পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে ফুল দেন।
এই দিনটি পালনে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সশস্ত্র বাহিনী। দেশের সব সেনানিবাস, নৌ-ঘাঁটি ও স্থাপনা এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটির মসজিদসমূহে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করে ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্যদিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
তিন বাহিনী প্রধানরা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী কর্তৃক ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে এক বৈকালীন সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে।
দিবসটি উপলক্ষে আগামী ২২ নভেম্বর সেনাবাহিনী প্রধান ও বিমান বাহিনী প্রধান নিজ নিজ বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেবেন। এ ছাড়া নৌবাহিনী প্রধান আজ নিজ বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা প্রদান করবেন।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর তৎকালীন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী নিয়ে গঠন করা হয়েছিল বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী। সেই থেকে ২১ নভেম্বর দিবসটিকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।