ভারতীয় সেনার মাথা কেটে হত্যার পর সেনাচৌকিতে পাকিস্তানের জঙ্গিদের ফেলে যাওয়া অস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জাম এক নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। গত ২২ নভেম্বর কাশ্মীরের মাছিল সীমান্ত চৌকিতে তিন সেনাকে হত্যার পর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) প্রতিরোধে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা। কিন্তু এর আগে ওই চৌকিতে টহলরত সেনা প্রভু সিংকে গলা কেটে এবং অপর দুই সেনাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
ঘটনার পরপরই ওই সেনাচৌকি থেকে জঙ্গিদের ফেলে যাওয়া একটি ব্যাগ ও একটি অস্ত্র উদ্ধার করে ভারতীয় সেনারা। ওই ব্যাগেই ছিল একটি বিশেষ অন্ধকারে দেখার চশমা (নাইট ভিশন ডিভাইস)। আর ওই চশমায় স্পষ্ট লেখা আছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সম্পদ’!
এক জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বরাতে জানা যায়, আফগানিস্তানের তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় এ অস্ত্রগুলো পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। আর এগুলোই এখন ভারতীয় সেনাদের হত্যায় ব্যবহার করছে পাকিস্তানের জঙ্গিরা।
অবশ্য কাশ্মীর সীমান্তে সন্ত্রাসীদের কাছে ‘যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র’ পাওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেছিল জঙ্গিরা। ২২ নভেম্বর মাছিল চৌকি থেকে বেঁচে ফেরা এক তরুণ সেনা কর্মকর্তা তদন্ত কর্তৃপক্ষের কাছে জানান, ঘটনার দিন ভোররাতে শক্তিশালী অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে হামলা করেছিল জঙ্গিরা। নাইট ভিশন গ্লাস, অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসহ পুরোদস্তুর সামরিক সাজে ছিল তারা।
এদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, নিহত জঙ্গিদের ব্যাগে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ব্যবহার করা চিকিৎসা সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া শক্তিশালী রেডিও, গোলাবারুদ, তার কাটার যন্ত্র, খাবার, বাইনোকুলার এবং স্লিপিং ব্যাগ উদ্ধার করা হয়, যার অধিকাংশ পাকিস্তানে তৈরি এবং দেশটির সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত।