সোসাইটিনিউজ ডেস্ক: পালং শাক একটি ভিটামিন সমৃদ্ধ শীতকালীন সবজি। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের যে কোনো সময় এটি জমিতে অথবা বাড়ীর ছাদে চাষ করা যায়।
কপিং পালং, সাঁথী, ইভান, সবুজ বাংলা, পুষা জয়তি, নবেল জায়েন্ট, ব্যানার্জি জায়েন্ট, অলগ্রিন হচ্ছে পালং শাকের জাত।
ছাদে চাষের জন্য কিছু কলাকৌশল মেনে চলতে হয়। ছাদে চাষের ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের বড় গামলা, টব বা অর্ধ ড্রামে চাষ করা যায়। পালং শাকের বীজ বোনার আগে প্রতিটি গামলা বা ড্রাম বা টবের মধ্যে দোঁ-আশ মাটি ১০-১২ কেজি, পচা আবর্জনা সার ৫ কেজি, পচা গোবর ৫ কেজি, ছাই ৫ কেজি, টিএসপি ও এমপি যথাক্রমে ১০০ ও ১২০ গ্রাম এবং ৫-৬ দিন আগে ভেজানো প্রায় ১০০-১১০ গ্রাম পরিমাণ সরিষার খৈল মেশাতে হবে।
সার ও মাটি মেশানেরা আগে লক্ষ্য রাখতে হবে, এগুলো মাঝারি ধরনের শুকনো আছে কি-না। যদি ভেজা থাকে তাহলে রোদে কিছুটা শুকিয়ে নেয়া উচিত। অতঃপর গামলা, ড্রাম বা টব সার মিশ্রিত মাটি দিয়ে ভরাট করতে হবে। তারপর বীজ বপন করা যেতে পারে। বীজ বপনের সঙ্গে সঙ্গেই হালকা পানি দেয়া প্রয়োজন।
সকাল-বিকাল দিনে দু’বার পানি দিতে হবে। টবে যেন অতিরিক্ত পানি জমে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। চারা গজানোর পর গোড়ায় কোনো আগাছা জন্মালে তা তুলে দিতে হবে। চারা গজানোর ১৫-২০ দিন পর থেকে ঘন জায়গার চারা তুলে পাতলা করে দিতে হয়। গামলা, ড্রাম বা টব প্রতি ১০-১৫ গ্রাম ইউরিয়া সার ১৫, ২৫ ও ৩৫ দিন পরপর প্রয়োগ করতে হবে।
বীজ বোনার ৪৫-৫০ দিন পর পালং শাক সংগ্রহ করা যায়। গাছে ফুল না আসা পর্যন্ত যে কোনো সময় সংগ্রহ করা যায়।