রোনাল্ডো ও মরিনহোর বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ

ক্রীড়া ডেস্ক

রিয়াল মাদ্রিদ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো এবং ইংলিশ ফুটবল ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যানেজার জোসে মরিনহোর বিরুদ্ধে লাখ লাখ ডলার আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।  অভিযোগ উঠেছে যে কর ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে সরিয়ে নিয়েছেন। নিজেদের উপার্জিত অর্থ অন্য একটি দেশে পাচার করার মাধ্যমে এই কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। বিপুল পরিমাণে তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।

দুই টেরাবাইট আকারের ফাঁস হয়ে যাওয়া এসব কাগজপত্রের মধ্যে আসল চুক্তিও রয়েছে। আছে গোপনে করা সমঝোতার কাগজপত্রসহ ইমেইলও।

বলা হচ্ছে, ফাঁস হয়ে যাওয়া এসব কাগজপত্রের পরিমাণ প্রায় ১৮ মিলিয়ন। ফাঁস হয়ে যাওয়া লাখ লাখ কাগজপত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি এসব অভিযোগ ইউরোপের বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জার্মান সাময়িকী ডের স্পিগেল, স্পেনের এল মুন্ডু এবং যুক্তরাজ্যের সানডে টাইমস।

এসব সংবাদপত্র বলছে, ‘ফুটবল লিকস’ শিরোনামে আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে তারা এবিষয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।

বিশ্বের ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কিভাবে তাদের কর ফাঁকি দিচ্ছে তার ওপর পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারির আট মাস পর ফুটবলারদের কথিত এই কর ফাঁকির তথ্য প্রকাশ করা হলো।

ডাচ এনআরসি সংবাদপত্র বলছে, রোনাল্ডো ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে সরিয়েছেন প্রায় ৬৮ মিলিয়ন ডলার, ২০১৪ সালের শেষ দিকে। স্পন্সরশীপ ফি হিসেবে যে অর্থ পেয়েছেন সেটা তিনি সরিয়েছেন আইরিশ একটি কোম্পানির মাধ্যমে। স্পেনে কর সংক্রান্ত একটি আইন পরিবর্তনের ১১ দিন আগে এই অর্থ সরানো হয়েছে।

পত্রিকাটি বলছে, এবিষয়ে সাংবাদিকরা রোনাল্ডোর কাছে যা জানতে চেয়েছেন আজও তিনি সেসবের উত্তর দেন নি।

বলা হচ্ছে, মরিনহো সরিয়েছেন ১০ মিলিয়ন পাউন্ড, একটি সুইস অ্যাকাউন্টে, যার মালিক ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডের একটি কোম্পানি।

তবে রোনাল্ডো এবং মরিনহো দু’জনেই তাদের বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের এজেন্টের মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইনের ভেতরে থেকেই তারা সবকিছু করেছেন।

এজেন্টের কোম্পানি বলেছে, রোনাল্ডো এবং মরিনহো পুরোপুরি আইন কানুন মেনেই সব করেছেন। করেছেন স্প্যানিশ ও ব্রিটিশ আইনের ভেতরেই। খবর বিবিসি।

LEAVE A REPLY