ক্রীড়া ডেস্ক
বরিশাল বুলস তাদের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচটিতে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে। বরিশালের হেরে যাওয়ার এক ম্যাচ হাতে হাতে থাকলেও বিদায় নিতে হয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মাশরাফির কুমিল্লাকেও।
বিপিএলে সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিয়েছে রংপুর রাইডার্স। বরিশাল বুলসকে ২৯ রানে হারিয়েছে রংপুর।
শনিবার মিরপুরে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রংপুর দলনেতা নাঈম ইসলাম। মোহাম্মদ শেহজাদ ও মোহাম্মদ মিথুনের পর জিয়াউর রহমানের ঝড়ো ব্যাটে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে রংপুর।
শেহজাদ ৪০ বলে ৪৮, মিথুন ৪১ বলে ৩৮ এবং জিয়াউর রহমান ১৭ বলে অপরাজিত ২৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন।
তবে এদিন ভালো শুরু পেলেও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারেননি ওপেনার সৌম্য সরকার। কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে শাহরিয়ার নাফিসের তালুবন্দি হওয়ার আগে তিনি ১২ বলে করেন ১৭ রান।
বরিশালের পক্ষে ২টি উইকেটে নেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। সৌম্য ও আফ্রিদিকে তুলতে তিনি চার ওভারে খরচ করেন ৩৯। এছাড়া থিসারা পেরেরা ২৬ রান খরচে নেন ২ উইকেট।
জবাব দিতে নেমে বরিশালের শুরুটাও ভালো হয়নি। দলীয় ২ রানের মাথায় রায়ান এমরিটকে ফেরান সোহাগ গাজী। এরপর ব্যাটিংয়ে নামেন মুশফিকুর রহিম। আজও ব্যাট হাতে ব্যর্থ বরিশালের অধিনায়ক। তিনি ১ রান করে গাজীর বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
জীবন মেন্ডিসও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ১২ রান করে নাঈম ইসলামের বলে আউট হন। এরপর ডেভিড মালান এবং ফজলে মাহমুদ দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। তবে ব্যক্তিগত ২১ রান করে আফ্রিদির বলে আউট হন ফজলে মাহমুদ।
এরপর ৩০ রান করা ডেভিড মালানকে ফেরান আনোয়ার আলী। ভালো খেলার ইঙ্গিত দিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি শাহরিয়ার নাফিস ও থিসারা পেরেরা।
নাফিসকে ১৪ রানে ফেরান লিয়াম ডওসন এবং পেরেরাকে ২৪ রানে সাজঘরে পাঠান আফ্রিদি। তাইজুল ইসলামকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে নিজের দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেন ডওসন।
শেষ দিকে মনির হোসেন এবং কামরুল ইসলাম রাব্বীর উইকেট তুলে নিয়ে বরিশালকে ১২৫ রানে অলআউট করেন রুবেল হোসেন।
এই ম্যাচের আগে চিটাগং ভাইকিংস, খুলনা টাইটানস ও রংপুর রাইডার্সের পয়েন্ট সংখ্যা সামান ১২। অবশ্য নেট রানরেটে এগিয়ে চিটাগং ভাইকিংস।