এক যুগেরও বেশি সময় কারাগারে আটক থাকার পর তিন বন্দীকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট বিভাগ। আসামীরা হলেন-সেন্টু ওরফে কামাল,মকবুল হোসেন এবং বিল্লাল হোসেন। তাদের মামলা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
তবে বিনা বিচারে আরেক বন্দী চান মিয়াকে জামিন দেয়নি হাইকোর্ট বিভাগ। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় পুলিশের কাছে ও ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ায় আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেনি। তবে তার মামলাটি ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রবিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি এম হাসানের ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
আদেশের পর জামিন পাওয়া বন্দীরা প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বছরের পর বছর আমরা কারাগারে বন্দী রয়েছি। কিন্তু কেউই আমাদের বিষয়টি দেখেনি। বন্দী থাকার কারণে পরিবারের সদস্যদেরও আমরা কোনো খোঁজ নিতে পারিনি। আমরা ঘর হারিয়েছি। সন্তানদের মুখ দেখতে পাইনি।
এর আগে সকালে চার বন্দীকে আদালতে হাজির করে গাজীপুর কাশিমপুর কারাগারের কর্তৃপক্ষ। হাজিরের পর আদালত প্রত্যেক বন্দীকে মামলার বিভিন্ন বিষয়ে তাদের কাছ থেকে তথ্য নেন। পরে আদালত জামিন মঞ্জুর করে।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বিনা বিচারে আটক থাকা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা ও কুমার দেবলু দে।
তারা আদালতে বলেন, ফৌজদারি মামলায় বিচার না হওয়ায় পৃথক চারটি মামলার চার আসামি বিনা বিচারে কারাগারে রয়েছেন ১৬ বছর ধরে। এভাবে বিনা বিচারে কারাগারে পড়ে থাকা অমানবিক। বিচার শেষে যদি তারা নির্দোষ প্রমাণিত হন তাহলে ওই সময়টা কে ফিরিয়ে দেবে? এ ব্যাপারে হাইকোর্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বিভাগ অন্তবর্তিকালীন আদেশের পাশাপাশি রুল জারি করে।