যেকোন সময় জাবি ছাত্রলীগের নতুন কমিটি, যোগ্যদের মূল্যায়নের দাবি

নিজস্ব প্রতিনিধি, জাবি:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি যেকোন সময় ঘোষণা হতে পারে। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই যে কমিটি ঘোষণা করা হবে সেটা গত বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগের কর্মী সম্মেলনের এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।

এদিকে দীর্ঘ ৪ বছর পর শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার আশ্বাস পেয়ে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। কমিটিতে পদ পেতে শেষ সময়ে এসে দৌড়ঝাঁপ বাড়িয়ে দিয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। কাঙ্খিত পদ পেতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন। পাশাপাশি সরগরম হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। নিজেদের শক্ত অবস্থান জানান দিতে নিয়মিত দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের ফটো, কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে তোলা ফটো আপলোড দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

এবারের কমিটিতে পদপ্রত্যাশিদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম আরিফ, শুভাশীষ কুন্ডু টনি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিঠুন কুমার কুন্ডু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোর্শেদুর রহমান আকন্দ, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন, আইন বিষয়ক সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চল, উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক দিদার হোসেন, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ, উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. জুয়েল রানা, উপ-মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এস এম ফিরোজুর রহমান সবুজ, উপ-গণযোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন, শহীদ রফিক জব্বার হলের সভাপতি নওশাদ আলম অনিক, আল বেরুনী হল (সম্প্রসারিত ভবন) সভাপতি সুমন সরকার, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হাসান ভূঁইয়া নোলক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম লিমন প্রমুখ শক্ত অবস্থানে রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে পদ প্রত্যাশীদের অনেকের ছাত্রত্ব নেই। তাছাড়া অনেকের বিরুদ্ধে রয়েছে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ, প্রতিপক্ষের উপর হামলা সহ বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগ। তবে অনেকের আশংকা অযোগ্যরা কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেলে ক্যাম্পাসের শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট হবে। তাই ক্যাম্পাসের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে সুস্থধারার রাজনীতিতে বিশ্বাসী এমন যোগ্যদের আসন্ন কমিটিতে মূল্যায়নের দাবি সাধারণ শিক্ষার্থী সহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের।

এদিকে গুঞ্জন রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রত্ব রয়েছে এমন নেতাকর্মীদেরকে এবারের কমিটির নেতৃত্ব দেওয়া হবে। সে হিসেবে কমিটির নেতৃত্বে আসতে পারে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর অধ্যয়নরত নবীন নেতাকর্মীরা এবং বাদ যেতে পারে দলের জন্য কাজ করেছেন এমন পরিশ্রমী সিনিয়র নেতাকর্মীরা। তবে এদের অনেকের বিরুদ্ধে স্থিতিশীল পরিবেশ পেয়ে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশের অভিযোগ রয়েছে। ছাত্রলীগের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় বর্তমানে যেসব সিনিয়র ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ক্যাম্পাসের রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন তারা ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করতে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাই ব্যাক্তি স্বার্থে নয় দলের জন্য কাজ করেছেন এমন নেতাকর্মীদেরকে নতুন কমিটির নেতৃত্বে দেখতে চান সাধারণ ছাত্রলীগ কর্মীরা।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল বলেন, ‘দলের জন্য যারা শ্রম দিয়েছে, কমিটিতে তাদেরকে বিবেচনা করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মাহমুদুর রহমান জনিকে সভাপতি ও রাজিব আহমেদ রাসেলকে সাধারণ সম্পাদক করে শাখা ছাত্রলীগের কমিটি গঠিত হয়। তবে সেই কমিটি ৪ বছর পার করলেও নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। অবশেষে দীর্ঘ চার বছর পর কমিটি পেতে যাচ্ছে ছাত্রলীগের এ ইউনিট।

LEAVE A REPLY