ম্যাডাম ববিন, ১৯০১, আফ্রিকা
ইতিহাসে ম্যাডাম ববিনের মৃত্যুর কাহিনী ভয়ানক। ইয়েলো ফিভারে আক্রান্ত ববিন ছিলেন অন্তঃসত্বা। হঠাৎ খুব অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তাকে মৃত ঘোষণা করে কবর দেওয়া হয়। এক নার্সের কথায় ববিন এর বাবা তার কবর খোঁড়ার ব্যবস্থা করে। কিন্তু পরবর্তীতে যা দেখা যায় তা বর্ণনাতীত। ববিনের কবরের মধ্যেই বাচ্চা হয়েছে এবং দুজনেই ওখানেই মৃত্যু বরণ করেছে।
ভার্জিনিয়া ম্যাকডোনাল্ড ১৮৫১, নিউইয়র্ক
অসুস্থ হয়ে মারা যাবার পর এনাকে কবর দেয়া হয়। কিন্তু তার মা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে ভার্জিনিয়ার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তার কথা কেউ বিশ্বাস করছিলেন না। তিনি অন্তত একবার কবর খোঁড়ার জন্য অনুরোধ করেন সবাইকে। অনেক অনুরোধের পরে কবর খোঁড়া হয়। মায়ের বিশ্বাসই ঠিক হোলো! কবরে দেখা গেলো ভার্জিনিয়া কবরে তার কাপড় ছিঁড়ে ফেলেছে এবং নিজের হাত কামড়ে মাংস আলাদা করে ফেলেছে। কবরের ভেতরে এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় তার।
ম্যাডাম ব্লানডেন ১৮৯৬, ইংল্যান্ড
ম্যাডাম ব্লানডেনের মৃত্যুর পর তাকে একটা স্কুলের পাশে সমাহিত করা হয়। পরদিন স্কুলে ছাত্ররা আসলে কবরের ভেতর থেকে গোঙানীর শব্দ শুনতে পায়। পরে কবর খুঁড়ে ব্লানডেনকে বের করা হয় এবং সে তখনই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। কবরের ভেতরে মৃত্যু যন্ত্রনায় সে নিজের হাত ও মুখ আঁচড়ে ছিঁড়েছিল।
কলিনস ১৮৮৬, কানাডা
এ মেয়েটাকে কবর দেয়ার কিছুদিন পরে মৃতদেহ অন্য জায়গায় সরানোর দরকার হয়। কিন্তু কবর খুঁড়ে দেখা গেলো কলিনস মৃত্যু যন্ত্রণায় তার কাপড় ছিঁড়ে ফেলেছে, তার হাঁটু থুতনীর কাছে এনে রেখেছে এবং হাত দুটো মাথার পেছনে বাঁকা করে আটকে ফেলেছে।
জেনকিনস ১৮৮৫, নর্থ ক্যারোলাইনা
অসুস্হ হয়ে হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে যায় তার এবং পুরো শরীর শক্ত হয়ে যাওয়ায় সবাই ভেবেছিলোজেনকিনস-এর মৃত্যু হয়েছে। এরপর তাকে কবর দেয়া হয়। কোনো একটা গুজবের কারণে তার কফিন খোঁড়া হয়। লাশ বের করে দেখা যায় জেনকিনস এর হাতে তার ছেঁড়া চুল, তার নখে ও মুখে রক্তের দাগ। আর কফিনের গায়ে নখের আঁচড়। সম্ভবত মৃত্যু যন্ত্রণায় সে নখ দিয়ে কফিনের গায়ে আঁচড় কেটে তা খুলতে চেয়েছিলো। মানবকণ্ঠ