কমপ্লায়েন্স (কারখানার নিরাপত্তা ও উন্নত কর্মপরিবেশ) নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় তোবা গ্রুপের তোবা গার্মেন্টসসহ নতুন ৯টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড।
সম্প্রতি অ্যাকর্ড সম্পর্ক ছিন্ন করা এ নয়টি প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করেছে।
ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করা প্রতিষ্ঠান গুলো হলো- মিরপুরের আনাম গার্মেন্টস ও আশুলিয়া অ্যাপারেলস, নারায়ণগঞ্জের এমএস অ্যাটায়ার, চট্টগ্রামের রিভারসাইড অ্যাপারেলস ও আশুলিয়ার রক নিটওয়্যার।
এছাড়াও হেসং গ্রুপের সঙ্গেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ক্রেতা জোট। এ জন্য গ্রুপের চারটি কারখানা হেসং করপোরেশন, হেসং করপোরেশন ইউনিট-২, হেসং সোয়েটার ও হেসং নিটওয়্যার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
জানা গেছে, অ্যাকর্ড প্রতিটি কারখানার ক্ষেত্রেই ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করার কারণ হিসেবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ বলে উল্লেখ করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে নামি দামি ব্র্যান্ডের কাজ করছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছে প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে তোবা গ্রুপের তাজরীন ফ্যাশনসের অগ্নিকাণ্ডে ১১১ পোশাকশ্রমিক মারা যান। কারখানাটিতে ২০১৪ সালে অ্যাকর্ড প্রতিনিধিরা অগ্নি, বৈদ্যুতিক ও ভবনের কাঠামোগত ত্রুটি চিহ্নিত করতে প্রাথমিক পরিদর্শন করে।
পরে বহুবার জোটের কর্মকর্তারা তাগাদা দিলেও সংস্কার কর্মপরিকল্পনা (ক্যাপ) অনুযায়ী কাজ করেনি তোবা কর্তৃপক্ষ। ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করায় অ্যাকর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ২ শতাধিক ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরি করতে পারবে না তোবা গার্মেন্টস।
এদিকে রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের কারখানাগুলোতে কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে চাপ দেয় ক্রেতা জোট। পরে তারা বিভিন্ন কারখানা পরিদর্শন করেন।