ক্রীড়া ডেস্ক
খুলনা টাইটান্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে রাজশাহী কিংস। খুলনার দেয়া ১২৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজশাহী কিংস। সাব্বির-ফ্র্যাঙ্কলিনের চতুর্থ উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন ৬২ রানে জয় পেয়েছে স্যামি বাহিনী।
সাব্বির রহমান ৪৩ ও জেমস ফ্র্যাঙ্কলিন ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন। সাব্বিরের অপরাজিত ইনিংসটি ছিল ২টি চার ও একটি দৃষ্টিনন্দন ছক্কায় সাজানো। ফ্রাঙ্কলিনও ২টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান। এছাড়া আফিফ হোসেন ২৬ ও নূরুল হাসান ১৪ রান করেন।
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৫ রান সংগ্রহ করে মাহমুদুল্লাহ বাহিনী। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দলীয় ১২ রানে পরপর দুই উইকেট রান আউটের শিকার হলে বেকায়দায় পড়ে খুলনা। ভুল বোঝাবুঝির কারণে রান আউটের ফাঁদে পড়েন হাসানুজ্জামান (১)। একই ওভারের তৃতীয় বলে আবার রান আউট হন আবদুল মাজিদ (১১)।
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরান। দুজনেই ২২ রান করে নেন। অন্য ব্যাটসম্যানরা ছিলেন আসা-যাওয়ার দলে।শেষদিকে আরিফুল ২৯ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে দলকে সম্মানজনক স্কোর গড়তে ভূমিকা রাখেন।
ইংলিশ অলরাউন্ডার সামিথ প্যাটেল চার ওভার বল করে মাত্র ১৯ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন ক্যাস্ট্রিক উইলিয়ামস, ফরহাদ রেজা, আফিফ হোসেন ও ড্যারেন স্যামি।
১২৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে রাজশাহী কিংস দলীয় ৫ রানেই মুমিনুলকে হারিয়ে চাপে পড়ে। মুমিনুল চার বলে ২ রান করে কোপারের বলে আবদুল মজিদের হাতে তালুবন্দি হন।
দলীয় ৩৪ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৪ রান করে নূরুল হাসান সাজঘরে ফেরেন। স্কোরবোর্ডে দলীয় রান যখন ৬৭ তখন মাহমুদুল্লাহর বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন ২৬ রান করা আফিফ হোসেন।
তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে সাব্বির রহমান ও জেমস ফ্রাঙ্কলিন দেখেশুনে খেলতে থাকেন। বিশেষ করে সাব্বির স্বভাবগত ব্যাটিংয়ের পরিবর্তে ক্রিজে চরম ধৈর্যের পরিচয় দেন। দলীয় রান যখন ৫২/২, সে সময় ২৩ বলে সাব্বিরের রান ছিল মাত্র ৯!
সেই সাব্বির শেষ পর্যন্ত ৫২ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত ব্যাটসম্যান হিসেবে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছে ১৯ রানে খুলনার তিন উইকেট শিকার করা সামিথ প্যাটেল।