বাল্যবিবাহ আইনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণ টেনে নিজের যুক্তি তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার ভোরে ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি প্রশ্নও রাখেন, ‘বাল্যবিয়ে নিয়ে ব্যতিক্রমগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে ঠিক থাকলে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ঠিক হবে না কেন?’
সজীব ওয়াজেদ লেখেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্রের পুরো ৫০টি রাজ্যের বিবাহ আইন সংক্রান্ত একটি সারসংক্ষেপ শেয়ার করতে চাই, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ ল’ ইউনিভার্সিটির অন্যতম কর্নেল ল’স্কুল হতে প্রকাশিত হয়েছে। প্রায় সকল রাজ্যেই ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে কোর্ট বা তাদের অভিভাবকের সম্মতিতে হতে পারে। সর্বনিম্ন বয়সের বিষয়ে তারতম্য রয়েছে, কোনো কোনো রাজ্যে এটি সর্বনিম্ন ১২ বছর এবং একটি রাজ্য রয়েছে তাদের কোনো সর্বনিম্ন বয়সসীমা নেই। গর্ভধারণের বা এ ধরনের বিষয়ও প্রায়ই আদালতের সম্মতি সাপেক্ষে হয়ে থাকে।’

ফেসবুকে দেয়া জয়ের স্ট্যাটাসের চিত্রতিনি লেখেন, ‘এটা যারা আমাদের বর্তমান শিশু বিবাহ আইনের সমালোচনা করছেন, তাদের যুক্তির পরিপন্থী হচ্ছে। আমাদের আইনের সংশোধনী শুধুমাত্র ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে অভিভাবক এবং আদালতের সম্মতিতে ১৮ বছরের কম মেয়েদের বিয়ের অনুমতি দেয়। এটা সেই একই রকম আইন যা সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে। যদি এই ব্যতিক্রমগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে ঠিক থেকে থাকে, তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ঠিক হবে না কেন?
স্ট্যাটাসে একটি লিংক দিয়ে সেটি শেয়ার করারও অনুরোধ করেন সজীব ওয়াজেদ, https://www.law.cornell.edu/wex/table_marriage
এর আগে বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাল্যবিবাহ আইন নিয়ে চিন্তিত হবার কিছু নেই। আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে এই আইন করা হয়েছে।’
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমরা ১৮ বছর বিয়ের বয়স নির্দিষ্ট করে দিয়েছি। তারপরও বিশেষ ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে বিয়ে দেয়া যেতে পারে। কারণ একটা মেয়ে যেকোনো কারণে হোক যদি ১২/১৩ বছর বয়সে প্রেগন্যান্ট হয়ে গেল, তাকে অ্যাবর্সন করানো গেল না। তখন কি হবে? যে শিশুটি জন্ম নেবে সেই শিশুটির অবস্থানটা কোথায় হবে? সেই মেয়েটির কি হবে? সমাজ কি গ্রহণ করবে? তাকে কি বৈধভাবে মেনে নেবে? নেবে না। তাহলে তাদের দায়িত্ব নেবে কে?’