আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিয়ে করতে অস্বীকার করায় প্রেমিককে ঘরে আটকিয়ে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকার বিরুদ্ধে। গত মাসের ২৮ তারিখ ঘটনাটি ঘটে ভারতের বেঙ্গালুরুতে।
ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণীকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় কটনপেট থানার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম মনসুর (২৭)। কেরালার বাসিন্দা ওই যুবকের বেঙ্গালুরু রেলস্টেশনে চা-স্ন্যাকসের দোকান ছিল। অন্যদিকে, অভিযুক্ত তরুণী শহরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করত। মাইসুরুর ওই তরুণী পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকত শহরে। ট্রেনে যাওয়া আসার সূত্রে দুজনের মধ্যে আলাপ হয়। ক্রমশ বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
কেন প্রেমিককে খুন
পুলিশের জেরায় তরুণী জানিয়েছে, দীর্ঘদিনের সম্পর্ক তাদের। ৬ মাস আগে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সে। মনসুরকে বিয়ে করতে বলে। কিন্তু, বিয়ে করতে অস্বীকার করে মনসুর। বলে গর্ভপাত করে নিতে। সেই প্রতিহিংসা থেকেই মনসুরকে খুন করার পরিকল্পনা করে।
কীভাবে খুন
মেডিক্যাল কলেজের ওই ছাত্রী তার বয়ানে জানিয়েছে, গত ২৮ তারিখ তারা সান্থালা সার্কেলের কাছে শ্রীকৃষ্ণ লজে ওঠে। জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেয় মনসুরকে। অচেতন হয়ে পড়ে মনসুর। তারপরে ঘরে পেট্রল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয় সে। দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে ঘর। ঘরবন্দি মনসুরও অগ্নিদগ্ধ হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে তরুণী আত্মহত্যার গল্প ফাঁদে। দুজনকেই ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সেদিন দুর্ঘটনার পর অগ্নিদগ্ধ মনসুরকে শহরের এক সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানেই মারা যায় সে।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, মনসুরকে হত্যার কথা প্রথমে স্বীকার করেনি তরুণী। ঘটনার পর অসুস্থ অবস্থায় তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে সে পুলিশকে জানিয়েছিল হোটেলের ঘরে দুজনই আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তিন দিন পর প্রকৃত সত্য সামনে নিয়ে আসে। পুলিশকে সে জানায়, পরিকল্পনামাফিক মনসুরকে খুন করেছে সে। কোটনপেট পুলিশ জানিয়েছ, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বিচার বিভাগীয় হেফাজতে নেওয়া হয়েছে অভিযুক্ত যুবতীকে।