আজ ৯ ডিসেম্বর, বেগম রোকেয়া দিবস। নারীমুক্তি আন্দোলন বেগবান করার দৃপ্ত শপথে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারাদেশে দিবসটি পালিত হবে। রাজধানী, রোকেয়ার জন্মস্থান রংপুর এবং দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ ও সামাজিক সংগঠন নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ মহীয়সী নারীকে স্মরণ করবে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে প্রতি বছরের মতো এবারও রোকেয়া দিবস উদযাপন এবং রোকেয়া পদক প্রদান করা হবে। রংপুরের পায়রাবন্দে আজ শুক্রবার শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী রোকেয়া মেলা। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিচার বিভাগ, পুলিশ, প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনীসহ সব পেশাতেই আজ নারীর অবাধ পদচারণা। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী, স্পিকার, মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত, বিচারপতি, সচিব, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী এবং পুলিশ ও আনসার বাহিনীর বিভিন্ন পদে নারীরা সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছেন। নারীদের এ উন্নতি বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন ও আদর্শ বাস্তবায়নেরই সফল ধারাবাহিকতা। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও এ উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন।
নারী যখন লাঞ্ছনা, বঞ্চনা ও নানা কুসংস্কারের জাঁতাকলে পিষ্ট, ঠিক সে সময় ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুরের পায়রাবন্দে বেগম রোকেয়ার জন্ম। ১৯৩২ সালে একই দিন তিনি ইন্তেকাল করেন। একাধারে লেখক, শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সংস্কারক রোকেয়া বাঙালি মুসলমান নারীদের জন্য শিক্ষার আলোকবর্তিতা জ্বালিয়েছিলেন। রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবার ব্যবস্থায় নারীর সমান অধিকারের জন্য রোকেয়া আমৃত্যু লড়াই করেছেন। মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত রেখে নারীকে গৃহকোণে আবদ্ধ রাখার ধ্যান-ধারণা পাল্টাতে তিনি ছিলেন সদা সোচ্চার।
মতিচূর, সুলতানার স্বপ্ন, পদ্মরাগ, অবরোধবাসিনী ইত্যাদি কালজয়ী গ্রন্থে ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে ধর্মীয় গোঁড়ামি, কুসংস্কার ও নারীর বন্দিদশার স্বরূপ উন্মোচন করেছেন তিনি।
মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি জানান, পায়রাবন্দে আজ শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী রোকেয়া মেলা। সকাল ৯টায় বেগম রোকেয়ার স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হবে।