ভয়ঙ্কর অস্ত্রোপচারে নাক কেটে ক্যাপ্টেন আমেরিকার বাস্তবের আর্ক এনিমি

রাস্তায় তাঁকে হঠাৎ করে দেখলে হকচকিয়ে যান যে কেউ। কেউ বা ভয়ও পান। আবার রাস্তায় বাস্তবের ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’র আর্ক এনিমি দেখে মজাও পান কেউ কেউ। কে তিনি ? অস্ত্রোপচার করিয়ে নাক কেটে, লাল মুখ আর কোটারাগত কপাল নিয়ে কী ভাবে বাস্তবের আর্ক এনিমি হয়ে উঠলেন তিনি ?

ইনি ভেনেজুয়েলার ক্যারাকাসের বাসিন্দা হেনরি রদরিগেজ। ছোট থেকেই কমিকসের চরিত্রদের ফ্যান তিনি। বড় হয়েও এই ভাল লাগা থেকে বের হতে পারেননি রদরিগেজ। আর তাই প্রিয় কমিক চরিত্র ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’র আর্ক এনিমির মতো হতে চেয়েছেন তিনি।

 

১৯৪৭ সালে প্রথম ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’র নাজি এজেন্টের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল লাল মাথার আর্ক এনিমিকে। ছোট থেকেই আর্কের ফ্যান হেনরি।

image-2 image-10

 

২০১১ সালে সেলুলয়েড প্রথম মুখ দেখা যায় ক্যাপ্টেন আমেরিকার। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন হুগো উইভিং।

image image-6

সাত বছর ধরে নিজের মুখে একাধিক সার্জারি করিয়েছেন ৩৭ বছরের হেনরি। সবক’টি অস্ত্রোপচার মিলিয়ে মোট ১৩০ ঘণ্টা সময় লেগেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। খরচ করেছেন ৩০০০ পাউন্ড। যা ভারতীয় মুদ্রায় ২৫ লক্ষ টাকারও বেশি। এনিমি আর্ক হয়ে উঠতে সমস্ত মুখে ট্যাটু করিয়েছেন, নাক কেটে ফেলেছেন, নিজের কপালকে করেছেন কোটোরাগত। সার্জারির প্রথম ধাপে চোখের চারপাশে কালো ট্যাটু করিয়েছিলেন রদরিগেজ। পরে ধীরে ধীরে
একাধিক সার্জারির মাধ্যমে এনিমি আর্কের মতো ‘রেড স্কাল’ হন হেনরি। হেনরির তিন বছরের ছেলে আরন-ও বাস্তবের আর্ক এনিমি বাবাকে যথেষ্ট এনজয় করে।

 

image-9 image-8তাঁর এই জটিল অস্ত্রোপচার করেছেন ইমিলো গঞ্জালেজ। স্কুলের সময় থেকে ইমিলোর সঙ্গে বন্ধুত্ব হেনরির।  হেনরি বলছেন, তাঁর জীবনটা এত সুন্দর করে দেওয়ার পিছনে মূল কারিগর ইমিলো। হেনরির চিকিৎসক ইমিলো বলছেন, এই সার্জারি করার আগে রদরিগেজকে অনেক ধরনের  মানসিক এবং শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। প্রথমে ‘ইঙ্ক আই বল’ সার্জারি করে চোখের আকৃতি পাল্টে ফেলেছিলেন হেনরি। এরপর সারা  মুখে নানারকম ট্যাটু করান। কপালে গর্ত তৈরি করেন। তাঁর সর্বশেষ সার্জারি জিভে অস্ত্রোপচার। সাপের মতো জিভ চিরে নিয়েছেন তিনি।

LEAVE A REPLY