যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু কেন কমছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু বাড়ছিল। তবে গত দুই দশকের মধ্যে এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু কমেছে। দেশটির ন্যাশনাল সেন্টার ফর হেলথ স্ট্যাটিসটিক্স থেকে প্রকাশ করা তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪ সালে পুরুষদের প্রত্যাশিত গড় আয়ু যেখানে ছিল ৭৬ দশমিক ৫ বছর, ২০১৫ সালে তা নেমে এসেছে ৭৬ দশমিক ৩ বছরে। একইভাবে মহিলাদের প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৮১ দশমিক ৩ হতে নেমে এসেছে ৮১ দশমিক ২ বছরে।

পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে হৃদরোগে, ডেমেনশিয়ায় (স্মৃতিলোপ পাওয়া) এবং শিশুদের মধ্যে দুর্ঘটনাজনিত কারণে মৃত্যুর হার বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় হৃদরোগে। মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ার জন্য মানুষের ওজন বেড়ে যাওয়া এবং অর্থনৈতিক সংকটকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে সর্বশেষ এরকম প্রত্যাশিত গড় আয়ু কমে গিয়েছিল ১৯৯৩ সালে, যখন সেখানে এইডস রোগ নিয়ে সংকট চরমে পৌঁছেছিল।

১৯৫০ সালে মার্কিন নাগরিকদের গড় প্রত্যাশিত আয়ু ছিল ৬৮ বছর।

গড় আয়ু দশমিক এক শতাংশ কমে যাওয়ার মানে হচ্ছে লোকজন তাদের প্রত্যাশিত আয়ুর চেয়ে একমাস আগে মারা যাচ্ছে।

এই পরিসংখ্যান নিয়ে বিশেজ্ঞরা একটু উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে গত তিন বছরে যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের গড় আয়ু প্রায় একই জায়গায় আছে, বাড়ছে না। তারপর এখন তা কমছে।

ওইসিডি ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রত্যাশিত গড় আয়ুর দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ২৮ নম্বরে। তাদের ঠিক উপরে হচ্ছে চেক প্রজাতন্ত্র, চিলি এবং কোস্টারিকার অবস্থান।

বিশ্বে প্রত্যাশিত গড় আয়ু সবচেয়ে বেশি জাপানে। সেখানে মানুষের গড় আয়ু ৮৩ দশমিক ৭ বছর। আর গড় আয়ু সবচেয়ে কম সিয়েরা লিওনে, ৫০ দশমিক ১ বছর। খবর বিবিসি।

LEAVE A REPLY