জাবিতে ‘বিভাগ উন্নয়ন ফি বাতিল আন্দোলন’ বিষয়ক উন্মুক্ত আলোচনা

নিজস্ব প্রতিনিধি, জাবি:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বিভাগ উন্নয়ন ফি বাতিলের দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের চলমান আন্দোলন বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার সন্ধ্যা ৭ টায় জাহাঙ্গীরনগর স্পিকার্স ফোরাম’র আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ‘বটতলার আড্ডা’ শিরোনামে এ আলোচনা অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে। চলমান আন্দোলন বিষয়ে বিভিন্ন পক্ষের মতামত জানতে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা আলোচকদের প্রশ্ন করতে পারবেন।
জাহাঙ্গীরনগর স্পিকার্স ফোরামের কো-অর্ডিনেটর মওদুদ আহম্মেদ সুজন বলেন, ‘আলোচনা যে কোন সমস্যা সমাধানের সর্বোত্তম পন্থা। তাই উন্নয়ন ফি থাকা উচিত কি অনুচিত- এসব বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি নির্ধারক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্মুক্ত আলোচনার মধ্য দিয়ে একটা ঐক্যমতে পৌাঁছানোর লক্ষ্যেই এই ভিন্নধর্মী আয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতির ভবিষ্যত কর্ণধার বিশেষ করে তরুণদের মাঝে চলমান বিভিন্ন ইস্যুতে যেন চিন্তা-ভাবনার তাড়না বোধ হয়, এই উদ্দেশ্যেই স্পির্কাস ফোরাম এই ধরণের আয়োজন করে আসছে। তবে উন্মুক্ত মঞ্চে এটাই আমাদের প্রথম আয়োজন। ভবিষ্যতেও এই ধরণের আয়োজন অব্যাহত থাকবে। এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’
অনুষ্ঠানে আলোচক প্যানেলে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক বশির আহমেদ, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, শহীদ সালাম-বরকত হলের প্রাধ্যক্ষ কবিরুল বাশার।
শিক্ষর্থী ও আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে আলোচক থাকবেন- জাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি, জাবি সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শেখ রাহাত, ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক অলিউর রহমান সান এবং জাবি ছাত্র ফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুক হেলাল অনিক।
অনুষ্ঠানটি স্পির্কাস ফোরামের ফেইসবুক পেইজে (www.facebook.com/speakersforum/) সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ উন্নয়ন ফি বাতিলের দাবিতে ব্যাংক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। তাদের অবরোধ কর্মসূচির মুখে  ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

LEAVE A REPLY