বড় খেলোয়াড়রাই নৈপুণ্য দেখালেন এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল)। বাংলাদেশের ঘরোয়া এ টি-টোয়েন্টি আসরে ব্যাটে-বলে নৈপুণ্যে এগিয়ে ছিলেন স্বদেশি তারকারাই।
আসরের ফাইনালের আগে সফল ব্যাটসম্যানের তালিকার শীর্ষ ১০-এর সাতজনই বাংলাদেশি তারকা। আসরের ৪১ ম্যাচ শেষে তালিকায় কমপক্ষে ১০ উইকেট শিকার ২৩ জন বোলারের। এমন কৃতিত্ব দেখিয়েছেন বাংলাদেশি ১৩ জন বোলার।
আসরের শুরুর দিকে দাপুটে নৈপুণ্য দেখালেও গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে পা ফসকে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় রংপুর রাইডার্স। এবার উইকেটের ব্যবধানে সর্বাধিক ৯ উইকেটে হারজিতের ঘটনা দেখা গেছে চারবার। এর চারটিতেই জড়িয়ে রংপুর রাইডার্স।
আসরে তিনবার এমন জয়ের পর তারা ৯ উইকেটে হার দেখে চিটাগং ভাইকিংসের কাছে। বল হাতে সমান ২০ উইকেট শিকার ঢাকা ডায়নামাইটসের ক্যারিবীয় পেসার ডোয়াইন ব্রাভো ও খুলনা টাইটানসের পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার জুনায়েদ খানের। তবে ব্রাভো দুই ম্যাচ কম খেলেছেন। আসরে একাধিকবার চমকদার জয় কুড়াতে দেখা যায় খুলনা টাইটানসকে। তবে লজ্জার এক রেকর্ডেও নাম ওঠে তাদের।
আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৪৪ রানে গুঁড়িয়ে যায় খুলনা টাইটানসের ইনিংস। বিপিএল ইতিহাসে এটি দলীয় সর্বনিম্ন রানের নজির। এবারের বিপিএলে সবচেয়ে বড় চমকটা ১৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডার আফিফ হোসেনের। রাজশাহী কিংসের ক্যাপ মাথায় বিপিএল অভিষেকে ৫ উইকেটের গৌরব কুড়ান স্পিন তারকা আফিফ। গ্রুপে নিজেদের শেষ ওই ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে জয় নিয়ে প্লে অফ পর্বের আশা বাঁচে রাজশাহীর।
সর্বাধিক রান
ব্যাটসম্যান ইনিং রান সর্বোচ্চ গড়
তামিম ইকবাল (চিটাগং) ১৩ ৪৭৬ ৭৫ ৪৩.২৭
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (খুলনা) ১৪ ৩৯৬ ৬২ ৩৩.০০
সাব্বির রহমান (রাজশাহী) ১৪ ৩৫১ ১২২ ২৭.০০
মোহাম্মদ শাহজাদ (রংপুর) ১১ ৩৫০ ৮০* ৩৮.৮৮
মুশফিকুর রহীম (বরিশাল) ১২ ৩৪১ ৮১* ৩৭.৮৮
মেহেদী মারুফ (ঢাকা) ১৩ ৩৩৯ ৭৫* ২৮.২৫
মারলন স্যামুয়েলস (কুমিল্লা) ৮ ৩৩৪ ৬৯* ৬৬.৮০
কুমার সাঙ্গাকারা (ঢাকা) ১২ ৩৩৪ ৬৬ ২৭.৮৩
মোহাম্মদ মিঠুন (রংপুর) ১২ ৩২০ ৬৪* ৪৫.৭১
মুমিনুল হক (রাজশাহী) ১৪ ৩০৪ ৬৪ ২১.৭১
সর্বাধিক উইকেট
বোলার ম্যাচ উই. সেরা ইকো.
ডোয়াইন ব্রাভো (ঢাকা) ১২ ২০ ৩/১০ ৭.৬২
জুনায়েদ খান (খুলনা) ১৪ ২০ ৪/২৩ ৬.০৯
মোহাম্মদ নবি (চিটাগং) ১৩ ১৯ ৪/২৪ ৬.৪৭
শফিউল ইসলাম (খুলনা) ১৩ ১৮ ৪/১৭ ৭.৭৮
শহীদ আফ্রিদি (রংপুর) ১১ ১৭ ৪/১২ ৬.৩৫
মোহাম্মদ শহীদ (ঢাকা) ৮ ১৫ ৩/২১ ৬.৮৮
রুবেল হোসেন (রংপুর) ১২ ১৫ ৩/২৫ ৭.৩৪
তাসকিন আহমেদ (চিটাগং) ১১ ১৫ ৫/৩১ ৮.১১
আরাফাত সানি (রংপুর) ১২ ১৩ ৩/০ ৬.২৯
রশিদ খান (কুমিল্লা) ৮ ১৩ ৩/১৩ ৬.০৬
মাশরাফি মুর্তজা (কুমিল্লা) ১২ ১৩ ৩/১৬ ৬.৪৩
রেকর্ড
দলীয় সর্বোচ্চ: ১৯৪/৫ ঢাকা প্রতিপক্ষ কুমিল্লা
দলীয় সর্বনিম্ন: ৪৪ খুলনা প্রতিপক্ষ রংপুর
ম্যাচে সর্বাধিক রান: ৩৮৮ বরিশাল-রাজশাহী
বড় ব্যবধানে জয়: ৭৮ ঢাকা প্রতিপক্ষ রংপুর,
চিটাগং প্রতিপক্ষ বরিশাল
সেঞ্চুরি: ১২২ সাব্বির (রাজশাহী) প্রতিপক্ষ বরিশাল
সর্বাধিক ‘শূন্য’: ৩ থিসারা পেরেরা (বরিশাল)
সর্বাধিক ছক্কা: ২০ মারুফ (ঢাকা) ১৭ স্যামি, সাব্বির (রাজশাহী)
ইনিংসে পাঁচ উইকেট: ৫/২১ আফিফ রাজশাহী-চিটাগং
৫/২৮ আবুল হাসান রাজশাহী-খুলনা
৫/৩১ তাসকিন আহমেদ চিটাগং-রাজশাহী
ইনিংসে সেরা ইকোনমি: ৩/০ আরাফাত সানি রংপুর-খুলনা
ইনিংসে খরুচে বোলিং: ২/৫৩ শফিউল খুলনা-রাজশাহী
সর্বাধিক ডিসমিসাল: ১৭ লিটন (কুমিল্লা) সাঙ্গাকারা (ঢাকা)
ইনিংসে সর্বাধিক ডিসমিসাল: ৫ শাহজাদ রংপুর-বরিশাল
সর্বাধিক ক্যাচ: ৮ নাসির হোসেন (ঢাকা), জুনায়েদ খান (খুলনা)
সর্বোচ্চ রানের জুটি: ১৫০ মালান-নাফীস, বরিশাল-চিটাগং