বাংলাদেশের রাঙ্গামাটিতে একটি ছোটখাটো ঝুলন্ত সেতু রয়েছে। সেই সূত্রে ঝুলন্ত সেতু নামটির সাথে আমরা পরিচিত। তবে সেটিরও দুই প্রান্তে দুটি পিলার রয়েছে। সেটির উচ্চতাও খুব বেশি নয়।
কিন্তু এখানে যে সেতুটির কথা বলা হচ্ছে সেটির উচ্চতা ৩০ মিটার (১০০ ফিট)। আবার কোথাও কোথাও ঝুলন্ত এই সেতুটির উচ্চতা ১০০ মিটার (৩৩০ ফিট) এর মতো।
ইতালির ক্লেভেয়ারের সান গারভাসিও গর্জে (ভাল ডি সুসা) নামক স্থানে এই সেতুটি অবস্থিত। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঝুলন্ত সেতু। এই সেতুতে ১৪৪০টি ইস্পাতের পাত রয়েছে।
ক্লেভেয়ার থেকে চেসানা টরিনেজে যাত্রাপথে এ ঝুলন্ত সেতুর ব্যবহার করা হয়। এর যাত্রা পথও খুব রোমাঞ্চকর। চেসানা টরিনেজে, পিকোলা ডোরা উপত্যকা ক্রমেই সরু হয়ে এসে সাগ্নালঙ্গের ঢালু স্থান আর চেম্বারটনের মাঝে এক রকম বন্য ভয়ংকর পরিবেশ তৈরি করেছে যা একে অন্য এক রকম দর্শনীয় স্থানের রূপ দিয়েছে। পৃথিবীর বিস্ময়কর সকল দর্শনীয় স্থানের মধ্যে তিব্বতী এ ঝুলন্ত সেতুকে এক ধরণের শ্বাসরুদ্ধকর ভ্রমণও বলা যেতে পারে।
তবে এতে ভয় পাবার কিছুই নেই। সেইফটি জ্যাকেট পরিধান করেই ঝুলন্ত এ সেতুর যাত্রা শুরু করতে হয়। ফলে এ যাত্রা নিরাপদ।
দুই পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে চলে যাওয়া সেতুটি দেখতে ভয়ংকর মনে হলেও নিরাপত্তার দিক থেকে যথেষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে। ভয়ংকর ও রোমাঞ্চকর এ সেতুটি চারদিক থেকে উপরের দিক বাঁধা। দুই পাশে ধরে চলাচলের জন্যও রয়েছে ব্যবস্থা। এছাড়া সেইফটি জ্যাকেট পড়ে এই সেতুর যাত্রা শুরু করতে হয়।
এই সেতুটিতে উঠার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হলে যেতে হবে ক্লেভেয়ারে। ক্লেভেয়ার থেকে চেসানা টরিনেজে যেতে এই সেতু ব্যবহার করা হয়। তবে চাইলে বছরের যেকোনো সময় বা যেকোনো দিন এই সেতুতে ভ্রমণ করা যায় না। শুধুমাত্র বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বর এই পাঁচ মাস সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে কিছুটা বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ৩ ফিট ১ ইঞ্চির নিচের শিশুরা এই সেতুতে ভ্রমণের সুযোগ পায় না।