খুলনা মহানগরীর সরকারি শিশু সদনের তিন ছাত্রীকে ওই বিদ্যালয়ের দফতরী কর্তৃক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রোববার সকালে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে গেলে স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরে অভিযুক্ত দফতরী বাচ্চু হাওরাদারকে দুপুরে আটক করে পুলিশ।
লাকী ও কুলসুম নামের দুই অভিভাবক বলেন, শিশু সদন থেকে ওই দফতরী প্রতিদিন ছাত্রীদের স্কুলে আনা নেওয়া করে। কখনও স্কুল শুরু হওয়ার আগে আবার কখনও ছুটির পরে নানা প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে বিদ্যালয় ভবনের কক্ষ ও বাথরুমে ডেকে নিয়ে উক্ত ছাত্রীদের একাধিকবার ধর্ষণ করে সে।
গত এক সপ্তাহ আগে ধর্ষিত ওই শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরা আমাদের বাচ্চাদের কাছে এ ঘটনা খুলে বলে। পরে আমরা বাচ্চাদের মুখে ঘটনা শুনি।
পরে স্কুলের সভাপতি এম এম মাসুদ মাহমুদ ও প্রধান শিক্ষক সঞ্জয়কে জানালেও তারা বিষয়টির কোনো সমাধান না করায় আমরা বিক্ষোভ করতে বাধ্য হই।
তারা অভিযোগ করেন দীর্ঘ দিন ধরে দফতরী এ ধরণের কাজ করে আসছে। এ ঘটনার পর অনেক মেয়ে ভয়ে স্কুলে আসছে না। তারা এতিম এ বাচ্চাদের উপর অন্যায়ের জন্য শাস্তি দাবি করেন।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বলেন, বাচ্চাদের মুখে ধর্ষণের জবানবন্দি আমি শুনেছি। দফতরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
খুলনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করেছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।