নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে বলে জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। এ ছাড়া কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ ফৌজদারি মামলাও রয়েছে।আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে শহীদ হানিফ খান মিলনায়তনে সুজন এ দাবি করে।
সংস্থাটির কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার বলেন, সাধারণ ভোটাররা যাতে ভালো ও যোগ্য প্রার্থী চিনে নিতে পারেন, সে লক্ষ্যে এই সংবাদ সম্মেলন। সাতজন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে দুজন কওমি মাদ্রাসা থেকে এসেছেন। তাঁদের নিয়ে প্রশ্ন আছে। আর আরো দুজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
সুজন জানায়, মোট প্রার্থীর ৭১ শতাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে এবং ৮০ শতাংশ প্রার্থী ব্যবসায়ী।
সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়।
মেয়র পদপ্রার্থীদের বিষয়ে দিলীপ কুমার বলেন, ‘অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, উনার বর্তমানে দুটি মামলা আছে, অতীতে চারটি ছিল। আরেকজন সাখাওয়াত হোসেন খান, উনার বর্তমানে দুটি ফৌজদারি মামলা আছে, অতীতে ছিল দুটি। অন্য যে পাঁচজন মেয়র প্রার্থী, তাঁদের বিরুদ্ধে বর্তমান বা অতীতে মামলার সংশ্লিষ্টতার কোনো তথ্য আমরা পাইনি।’
সংবাদ সম্মেলনে পাঠ করা লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘১৫৬ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশের বিরুদ্ধে বর্তমানে, ২৭ দশমিক ৫৬ শতাংশের বিরুদ্ধে অতীতে এবং ১২ দশমিক ৮২ শতাংশের বিরুদ্ধে উভয় সময়ে মামলা ছিল। এখানে ৩০২ ধারা বা হত্যার আসামি পেয়েছি সাতজনকে। আর নয়জনকে পেয়েছি, যাদের বিরুদ্ধে অতীতে মামলা ছিল। উভয় সময় হত্যা মামলা ছিল বা আছে দুজনের বিরুদ্ধে।’
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপির সাখাওয়াত হোসেন খান মেয়দ পদে লড়ছেন।