ব্যারিস্টার মওদুদের নাইকো মামলার স্থগিতাদেশ বহাল

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়া হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

একই সঙ্গে এ সক্রান্ত রুলটি আগামী ১৯ জানুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দেয়া হয়েছে।

রোববার প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ সময় মওদুদ আহমদের পক্ষে তিনি নিজেই আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আর দুদকের পক্ষে খুরশিদ আলম খান উপস্থিতি ছিলেন।

আদেশের পর দুদকের আইনজীবী জানান, এ আদেশের ফলে কেবল মওদুদের অংশের ওপর স্থগিতাদেশ বহাল থাকল।

এর আগে ১ ডিসেম্বর মওদুদ আহমদের নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

মওদুদের করা ফৌজদারী রিভিশন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি শেখ আব্দুল আওয়াল ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতি’র অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করে দুদক।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম।

২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। চার্জশিটে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

LEAVE A REPLY