গাইবান্ধার সাঁওতাল পল্লীতে আগুন লাগানোর ঘটনায় পুলিশের সম্পৃক্ততা আছে কি না তা তদন্তের জন্য চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিষয়টির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। বুধবার সাঁওতাল পল্লীর ঘটনায় দুটি রিটের শুনানিকালে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ এ নির্দেশ দেন। দুটি রিটের একটির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবু ওবায়দুর রহমান অপরটির পক্ষে ছিলেন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
সম্প্রতি প্রকাশিত ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রংপুর চিনিকলের জমিতে গড়ে ওঠা সাঁওতাল পল্লীতে আগুন দেয় পুলিশ। তবে পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আলজাজিরার এক ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, পুলিশ সদস্যরা দলবল নিয়ে চিনিকলের জমিতে তোলা সাঁওতালদের ঘরের দিকে যাচ্ছেন। ফাঁকা গুলি চালাতে দেখা যায় তাদের। সাঁওতালদের ঘরের কাছে পৌঁছে তিনজন পুলিশ সদস্য একটি ঘরে লাথি মারেন এবং ঘরের বেড়া টেনে ভাঙচুর করেন। পরে এক পুলিশ সদস্য আগুন লাগিয়ে দেন। অন্যরা ঘরের খড়ে আগুন দিতে সহায়তা করেন। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। ভিডিওতে পুলিশের সঙ্গে সাধারণ মানুষকেও দেখা যায়।
ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, সাদাপোশাকের একজন গিয়ে ওই ঘরের আগুন নিয়ে অন্য ঘরে লাগানোর জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন। এরপর মুহূর্তের মধ্যে অন্যান্য ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘরের সামনে কিছু পুলিশ সদস্য হাঁটাহাঁটি করছেন। কিছু পুলিশ সদস্য গুলি ছুড়ছেন। অনেক ঘর আগুনে পুড়ে যাচ্ছে।
গত ৬ নভেম্বও সাহেবগঞ্জ এলাকায় আখ কাটা কেন্দ্র করে রংপুর চিনিকল কর্মকর্তা–কর্মচারি ও পুলিশের সঙ্গে সাঁওতালদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এত পুলিশসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। এদেও মধ্যে চারজন সাঁওতাল মারা যান। এ সময় চিনিকলের জায়গায় গড়ে তোলা সাঁওতালদের ঘরবাড়ি লুটপাট করার পর তাতে আগুন লাগানো হয়।