অর্থ পাচারের দুই মামলায় বিচারিক আদালতে অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমিন ও ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের আবেদন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের সাড়া পায়নি।
ডেসটিনির দুই কর্মকর্তার আবেদন শুনে বুধবার চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ‘নো অর্ডার’ দিয়ে ৮ জানুয়ারি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। ডেসটিনির দুই কর্মকর্তার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি।
চেম্বার আদালতের এ আদেশের ফলে হাই কোর্টের সিদ্ধান্তই বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
বিচারিক আদালতে অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে ডেসটিনির দুই কর্মকর্তার আবেদন ওই আদেশে খারিজ করে দিয়েছিল হাই কোর্ট। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত ২৪ নভেম্বর ওই আদেশ দেয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনি গ্রুপের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ১৯ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ৪৬ জনকে আসামি করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০৮ সাল থেকে ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রোজেক্টের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাত করা হয়। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাড়ে ১৭ লাখ বিনিয়োগকারী।
আর মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ প্রোজেক্টের নামে ডেসটিনি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিল ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। সেখান থেকে ১ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয় বলে দুদকের অনুসন্ধানে ধরা পড়ে। ওই অর্থ আত্মসাতের ফলে সাড়ে ৮ লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতির মুখে পড়েন।
ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লা গত ২৪ অগাস্ট অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ দুই মামলায় আসামিদের বিচার শুরু করে। ওই আদেশের বিরুদ্ধেই হাই কোর্টে গিয়েছিলেন রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেন।