বালুবোঝাই একটি কার্গোর ধাক্কায় সেতুর একটি বড় অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে গেছে। এ সময় সেতুতে থাকা চার শিশুসহ পাঁচজন নদীতে পড়ে যায়। তাদের মধ্যে চারজন সাঁতরে তীরে উঠলেও এখনো এক শিশু নিখোঁজ। বালুবোঝাই কার্গোটিও কাত হয়ে আংশিক ডুবে গেছে। এ ঘটনায় কার্গোর চালক ও তাঁর সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। সেতুটি বেতাগি সানকিপুর ইউনিয়নের খারিজা বেতাগি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন জমির মৃধা শাখানদীর ওপর নির্মিত ছিল। এটি সুতাবাড়িয়া নদীর শাখা নদী।
খারিজা বেতাগি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিরণ আহমেদ বলেন, বেলা একটার দিকে গলাচিপা এলাকা থেকে এজিএল পরিবহনের বালুবোঝাই কার্গোটি জমির মৃধা নদী মোহনা অতিক্রম করার সময় সেতুর মাঝখানের একটি পিলারের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে লোহার বিমের ওপর আরসিসি কংক্রিট ঢালাই প্লেট বসানো ১৫০ ফুট লম্বা এই সেতুর মাঝখানে প্রায় ২৫ ফুট অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে যায়।
এ সময় সেতুর ওপর থাকা নুসরাত জাহান (৫) তুষার (১২) জাহিদুল (১৩) রেফায়েতুন ইসলাম (৯) ও কাসেম আলী মৃধা (৫০) সেতুর ভেঙে যাওয়া অংশের সঙ্গে নদীতে পড়ে যায়। তাদের মধ্যে চারজন স্থানীয় ও নিজেদের চেষ্টায় সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নুসরাত এখনো নিখোঁজ।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে কার্গোর চালক জসীম (৩০) ও হেলপার মাসুদকে (২০) আটক করা হয়। এ ছাড়া স্থানীয় লোকজন নিয়ে নিখোঁজ শিশুটিকে খোঁজা হচ্ছে।
এলজিইডি দশমিনা উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে দশমিনার ঠাকুরের হাটসংলগ্ন পরিত্যক্ত লোহার সেতুটি সরিয়ে এনে জমির মৃধা বাজার এলাকায় স্থাপন করা হয়েছিল। এতে ১০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছিল। বালুভর্তি কার্গো সজোরে ধাক্কা দিলে সেতুর একটি অংশ ভেঙে পড়ে।
দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইসরাইল হোসেন বলেন, নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধারে লোকজনকে নদীতে নামানো হয়েছে। এ ছাড়া পটুয়াখালী দমকল বাহিনীকে খবর দেওয়া হয়েছে।