একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা আগামী জুলাই মাসে বই আকারে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বুধবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাজধানীর রায়ের বাজারে বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আশা করি আগামী জুলাই মাসে আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা পাব।”
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিকসহ বহু খ্যাতিমান বাঙালিকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনেই পাকিস্তানি বাহিনী ওই নিধনযজ্ঞ চালায়; তাদের উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার পর যেন বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে- তা নিশ্চিত করা।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের দুদিন আগে বুদ্ধিজীবী হত্যায় প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করে রাজাকার, আলবদর ও আল শামস বাহিনীর সদস্যরা।
শরীরে নিষ্ঠুর নির্যাতনের চিহ্নসহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের লাশ পাওয়া যায় মিরপুর ও রায়েরবাজার এলাকায়। পরে তা বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে।
জেলা পর্যায় থেকে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন নিহত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা সংগ্রহের কাজ চলছে, আগামী জুলাইয়ে যার গেজেট হবে বলে জানান মন্ত্রী।
“আমরা সব জেলা থেকে তালিকা সংগ্রহ করছি, এখন সংকলন করে আমরা বই আকারে প্রকাশ করব। বিভিন্ন জেলা, প্রশাসন ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করছে, লালন করছে, তাদের মাধ্যমে আমরা জেলাভিত্তিক সেই তালিকাগুলো গ্রহণ করছি,” বলেন মোজাম্মেল হক।
জাতির মেধাবী সন্তানদের হত্যার দায়ে বদর বাহিনীর সর্বোচ্চ নেতার ফাঁসি কার্যকরের পর এবার প্রথম বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করছে বাংলাদেশ।