আ’লীগের ‘সংশয়’ প্রকাশকে দুঃখজনক বললো বিএনপি

নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে বিএনপির প্রস্তাব নিয়ে আওয়ামী লীগের ‘সংশয়’ প্রকাশকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, স্বয়ং রাষ্ট্রপতি যেখানে ইসি গঠনে বিএনপির প্রস্তাবকে গঠনমূলক ও সাধুবাদ জানিয়েছে সেখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে নিযে ‘সংশয়’ থাকাটা অত্যন্ত দুঃখজনক।

সোমবার বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা বলেন।

রিজভী বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে দেয়া প্রস্তাবে কোথাও দল সমির্থত কাউকে সার্চ কমিটি কিংবা নির্বাচন কমিশনের প্রধান হিসাবে উল্লেখ করা হয়নি। বরং বিএনপির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন হতে হবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী।

এতে নীতি নৈতিকতার ব্যত্যয় কোথায় ঘটলো এবং বিএনপিকে নিয়ে সংশয় প্রকাশের প্রশ্নই বা কেন এলো তা বোধগম্য নয় বলে জানান তিনি।

বিএনপির সিনিয়র মহাসচিব বলেন, সংবিধানে নির্দেশনা আছে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে আইন তৈরি করতে হবে। আওয়ামী লীগ ও সরকারের যদি সৎ ইচ্ছা থাকে যে আমরা একদলীয় শাসন কায়েম করবো না এবং জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোর অন্তর্গত তাগিদ থাকে, তাহলে অবশ্যই একটি শক্তিশালী সার্চ কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা উচিত হবে বলে মনে করে বিএনপি।

তিনি বলেন, এখানে সংশয়ের কথা বললে দিনকে দিন আওয়ামী লীগ মানুষের কাছে কলঙ্কিত হবে।

‘রাজনৈতিকভাবে বেঁচে থাকতে বিএনপি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে গেছে’- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের এমন বক্তব্যের সমালোচনায় রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই নীতি ও আর্দশের ওপর পরিচালিত হয় না। তারা মুক্তিযুদ্ধ নয়, চেতনাকে বড় করে দেখেন। তারা চেতনার ব্যবসা করে। আর সেই চেতনাকে বিশ্বাস করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে অন্ধাকারাচ্ছন্ন করেছেন। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও স্বাধীনতার ঘোষককে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে আর মাত্র দুই দিন বাকী। নির্বাচন ঘিরে শেষ মূহুর্তে যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেড়ে গেছে।

তার অভিযোগ, নাসিক নির্বাচনকে ভয়ভীতিমুক্ত, সুষ্ঠু ও অবাধ করতে সকল দাবি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক উপেক্ষিত হওয়ার কারণেই সন্ত্রাসীদের ক্রমাগত দৌরাত্ম বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাজেই এই সরকারের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী নির্বাচন পুরনো চেহারায় ফিরে যা কী না সেই সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলীম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

LEAVE A REPLY