ভাটারা থানা এলাকা থেকে নিখোঁজ এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে বারিধারার এক নির্মাণাধীন ভবনের রিজার্ভ ট্যাংকে।
কফিল চন্দ্র বাড়ৈ নামের ২০ বছর ওই তরুণ ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
সোমবার রাত ১২টার দিকে বারিধারা ‘জে’ ব্লকের ৩ নম্বর রোডের একটি নির্মাণাধীন ভবনের রিজার্ভ ট্যাংক থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় বলে ভাটারা থানার ওসি নুরুল মুত্তাকিম জানান।
তিনি বলেন, “কফিলের মাথায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কোমরের বেল্টের সঙ্গে তার পেঁচিয়ে বালুর বস্তা বেঁধে রিজার্ভ ট্যাংকের পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।”
সোমবার রাতে ট্যাংকের ভেতরে লাশ দেখে ওই ভবনের শ্রমিকরা থানায় খবর দেন বলে জানান ওসি।
তিনি বলেন, লাশ উদ্ধারের সময় ওই যুবকের পরিচয় পুলিশ জানত না। মঙ্গলবার বিকালে নিহতের বাবা ভরত চন্দ্র বাড়ৈ এসে কফিলের লাশ শনাক্ত করেন।
ওসি জানান, কফিলের পরিবার গোপালগঞ্জে থাকে। আর কফিল ভাটারা কালি মন্দির এলাকার একটি মেসে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন।
তার খোঁজ না পেয়ে তার বাবা ভরত চন্দ্র বাড়ৈ গত ১৮ ডিসেম্বর ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তবে কোন জায়গা থেকে কীভাবে কফিল নিখোঁজ হলেন সেসব বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি ওসি।