নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটের সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সাড়ে ৯ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে নগরীর চাষাঢ়ায় চেকপোস্ট বসিয়ে ডগ স্কোয়াড নিয়ে তল্লাশি শুরু করেছে র্যাব। এর আগে ২২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, বুধবার রাত ১২টায় এই সিটি নির্বাচনে প্রচার শেষ হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, বুধবার সকাল ১১টা থেকে শহরের আদালতপাড়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর শুরু হয়। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার, প্যাড, সিল, অমোচনীয় কালিসহ অন্যান্য উপকরণ পুলিশি পাহারায় পাঠানো হচ্ছে ১৭৪টি ভোটকেন্দ্রে।
এসব সরঞ্জামের মধ্যে সুঁই, সুতা, সুপার গ্লু, স্ট্যাপলার, ভোটার তালিকা, কার্বন পেপার, মোমবাতি, স্কেল, কলমসহ ৬০টির বেশি উপকরণ রয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা।
রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার জানান, যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ১৭৪টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৩৭টিতে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।
এক নজরে নাসিক নির্বাচন—২০১৬
► ভোটার ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন।
► মেয়র পদে প্রার্থী সাতজন। ৯টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন ও ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৫৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
► তিন পদের জন্য ব্যালট ছাপানো হয়েছে ১৪ লাখ ২৪ হাজার ৭৯৩টি।
► ভোটকেন্দ্র ১৭৪টি ও ভোটকক্ষ ১৩০৪টি।
► নির্বাচনী দায়িত্বে রয়েছেন প্রায় ৪ হাজার কর্মকর্তা।
► ভোটের নিরাপত্তায় রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে ৯ হাজার সদস্য।
এদিকে, ভোটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বুধবার সকাল থেকে মাঠে রয়েছে র্যাবের ডগ স্কোয়ার্ড ও বোমা নিস্ক্রিয়করণ ইউনিট। বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নরেশ চাকমা জানিয়েছেন, পুলিশ ও বিজিবির পাশাপাশি র্যাবের ৬০০ সদস্য নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
