চোখ কপালে ওঠার উপক্রম। টি–টোয়েন্টি ম্যাচে দুই দলের সম্মিলিত রান ৪৯৭! এক ইনিংসে ২৪৯, আরেক ইনিংসে ২৪৮।
নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সুপার স্ম্যাশে আগে ব্যাটিং করে ওটাগো ৩ উইকেটে ২৪৯ রান করে। জবাবে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট ৪ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে তোলে ২৪৮ রান। ১ রানের রোমাঞ্চকর জয় পায় ওটাগো।দুই দলেরই দুজন পেয়েছেন সেঞ্চুরির স্বাদ। ওটাগোর হামিশ রাদারফোর্ড ৫০ বলে ৯ চার ও ৮ ছক্কায় ১০৬ রান এবং সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টের হয়ে মাহেলা জয়াবর্ধনে ৫৬ বলে ১২ চার ও ৭ ছক্কায় করেন ১১৬ রান।
টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ম্যাচে এত রান এর আগে কখনো হয়নি। এর আগে ৪৮৯ রান হয়েছিল ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি–টোয়েন্টি ম্যাচে। ৪৬৯ রান হয়েছিল আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ম্যাচে।নিউ প্লেমাউথে বুধবার টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসন দেখান ওটাগোর দুই ওপেনার আনারু কিচেন ও রাদারফোর্ড। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন ১৩০ রান তোলেন মাত্র ১০.৬ ওভারে।
কিচেন ৩৩ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৪ রান করে সাজঘরে ফিরলেও রাদারফোর্ড ব্যাট চালিয়ে যান। দলীয় ১৯৭ রানে যখন রাদারফোর্ড আউট হলেন তখন তার পাশে রান তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগার। মাত্র ৫০ বলে ১০৬ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার।রাদারফোর্ড ফিরে যাওয়ার পর ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন নিল ব্রুম। ২৪ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান। এ ছাড়া জেমস নিশাম ১১ বলে ১৮ ও মাইকেল ব্রেসওয়েল ৩ বলে ১৬ রান করেন।
জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে ৮.৫ ওভারে শতরান তুলে নেয় সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টের। জয়াবর্ধনের ব্যাটে জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল তারা। তবে দলীয় ২২৯ রানে জয়াবর্ধনে ১১৬ রানে আউট হন।সে সময়ে জয়ের জন্য সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টের প্রয়োজন ছিল ১১ বলে ২১ রান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টকে। শেষ বলে জয়ের জন্য ২ রানের প্রয়োজনে রা আউট হন ডিন ক্লেভার। ২৯ বলে ৩ চার ও ৬ ছক্কায় ৬১ রান করে অপরাজিত ছিলেন টম ব্রুছ।
টি–টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রান
রান দল
৪৯৭ ওটাগো–সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট
৪৮৯ ভারত–ওয়েস্ট ইন্ডিজ
৪৬৯ চেন্নাই সুপার কিংস–রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু
৪৬৭ দক্ষিণ আফ্রিকা–ওয়েস্ট ইন্ডিজ
৪৫৯ ইংল্যান্ড–দক্ষিণ আফ্রিকা
৪৫৭ ইংল্যান্ড–অস্ট্রেলিয়া